আরও পড়ুন: ট্রাক উল্টোতেই বাড়ি থেকে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ছুটে এল সবাই, যে যেমন পারল মাছ নিয়ে গেল…
কবিগান পরিবেশনকারীদের বলা হয় কবিয়াল। কবিগানে মূলত একাধিক দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে, যাকে বলে ‘বাদাবাদি’। যেখানে একদল প্রশ্ন গান “চাপান” গাইবে এবং সেই গান শেষ হলে অপর দলটি তার জবাব গান “উতোর” গাইবে। শেষ পর্যন্ত গানের প্রশ্নোত্তরের টক্করে যে দল সবচেয়ে ভাল বিবেচিত হবে তারাই বিজয়ী হবে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
বাংলা লোকসঙ্গীতের একটি বিশেষ ধারা এই কবিগান। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে ঝুমুর, কীর্তন এবং আঞ্চলিক গানের সুরের সংমিশ্রণে এই গান সৃষ্টি হয়েছিল। সুরের বিচারে কবিগান- ঝুমুর, ভাওয়াইয়া বা ভাটিয়ালির মত কোনও সুনির্দিষ্ট সুরাঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করে না। আবার বাণীর উচ্চারণ এবং বিষয়াঙ্গের বিচারেও কবি গানের কোনও আদর্শিক বৈশিষ্ট্য নেই। এই বিচারে কবিগান হল- নানা সুরের নানা বিষয়ের সংমিশ্রণে গড়ে উঠা শঙ্কর শ্রেণির গান। এই গানের সৃষ্টি হয়েছিল বাংলার স্বভাবজাত কবিদের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশনের সূত্রে। মূলত দু’জন কবি প্রতিযোগিতামূলক গানের আসরে, গানের লড়াইয়ের অবতীর্ণ হতেন। এদের প্রত্যেকের সঙ্গে থাকত কবিদের নিজস্ব সহযোগী কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পীরা। এই গানের লড়াই চলত উন্মুক্ত আসরে অজস্র শ্রোতার সামনে। অনেক সময় প্রধান কবির সঙ্গে থাকতেন সহযোগী আরও কিছু কবি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত কবিয়ালদের নিয়ে এই কবিগানের কর্মশালার আয়োজন হল বহরমপুরে।
কৌশিক অধিকারী