আরও পড়ুন: সাহেবদের সাধের ফার্স্ট ফ্ল্যাশের দিন কি একেবারেই গেছে? ঈশান কোণে মেঘের অপেক্ষায় চা বাগান
মহিলাদের ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন, প্যাড তৈরি করে স্বনির্ভর হয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই মহিলা। শুধু তাই নয়, বর্তমানে তাঁর অধীনে কাজ করেন প্রায় ১৯ জন, তবে সকলেই মহিলা। মহিলাদের শারীরবৃত্তীয় সমস্যার মধ্যে প্রধান পিরিয়ডের সমস্যা। এই সময় সকলেই ব্যবহার করেন স্যানিটারি ন্যাপকিন বা প্যাড। বাড়িতেই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করছেন সোমারানি হোড়।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার গোপীনাথপুর গ্রামের সোমারানি হোড় বেশ কয়েক বছর আগে করতেন নেটওয়ার্ক ব্যবসা। পরে প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি বাড়িতেই শুরু করেন স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির কাজ। কাঁচামাল এনে নিজের বাড়িতেই স্বাস্থ্যসম্মতভাবে এবং সমস্ত নিয়ম মেনে শুরু করেন এই স্যানিটারি ন্যাপকিন বানানো। শুরুর সময় তাঁর অধীনে কাজ করত প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন মেয়ে। কিন্তু বর্তমানে করোনা পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৯-এ। স্বাভাবিকভাবেই স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন গ্রামীণ এলাকার বধূ থেকে মেয়েদের।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবার সামলে স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করে মাসিক আয়ও হচ্ছে মহিলাদের। পুরুষ শাসিত সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সোমারানি। ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে তিনি কাজের অর্ডারও পাচ্ছেন। প্রতিদিন প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি প্যাকেট তৈরি হচ্ছে এখানে। বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে বিক্রি হয় তাঁর তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন।
রঞ্জন চন্দ