আরও পড়ুন: দক্ষিণের বিখ্যাত মিষ্টি গিয়ে পৌঁছল উত্তরের জেলায়, হৈ হৈ করে বিক্রি
স্থানীয় সূত্রে খবর, বলাগড়ের জিরাট হাটতলা এলাকার বাসিন্দা ভানু মালিক দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা পাঁচজন। দু’দিন ধরে হঠাৎ বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়ার দাপট দেখা যায় বলাগড়ে। মাটির দেওয়াল, টালির চালের ঘরে বসবাস করত পরিবারটি। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমোতে যাবেন, এমন সময় হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পরে ঘর। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিবেশী অনিল বৈরাগ্য বলেন, কুুকুরকে খেতে দিচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা আওয়াজ শুনতে পাই। দেখি ওদের ঘরটা ভেঙে পড়েছে। চিৎকার চেঁচামেচি করেৎপাড়ার লোকজনকে বাকি। সবাই মিলে টালি সরিয়ে ওদের বের করে আনি।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
ভানু মালিক বলেন, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি। পাড়ার লোকজন উদ্ধার করেছে। স্ত্রীর পা ভেঙেছে। পঞ্চায়েতের লোকজন এসেছিল, বলেছে ত্রিপল দেবে। জিরাট পঞ্চায়েত প্রধান তপন দাস বলেন, আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছি। ছবি তুলে নিয়েছি। ব্লক ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অফিসারের সঙ্গে কথা হয়েছে। পঞ্চায়েতের এক্তিয়ারে যা পড়ে সেইমত সাহায্য করা হবে পরিবারটিকে। আবাস যোজনার বাড়ির টাকা আটকে থাকায় এই রকম গরিব পরিবারগুলোকে ঘর দেওয়া যাচ্ছে না। তবে গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আবাস যোজনার বাড়ি যাদের বাস্তবে পাওয়ার কথা ছিল তারাই হয়ত প্রতারিত। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা।
রাহী হালদার