আরও পড়ুন: নাড়া পোড়ালে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি! কৃষক বন্ধুরা এখনই সতর্ক হোন
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই মেলায় ভক্ত সমাগম হয়। কানায় কানায় ভরে ওঠে পুণ্যভূমি। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের চাড়ালখালির দুই শতাব্দী প্রাচীন এই হরিমেলা প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভিড় জমান চাড়ালখালির এই হরি মন্দিরে পুজো দিতে। আর এই হরিপুজাকে কেন্দ্র করে চাড়ালখালি মেলা ইতিহাস প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। বিশেষ করে হিঙ্গলগঞ্জের কালিন্দী নদীর তীরে সাহেবখালির চাড়ালখালিতে এই মেলায় প্রত্যন্ত সুন্দরবন সহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষের একটি মিলনক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই মেলাকে ঘিরে আছে একাধিক ইতিকথা। কথিত আছে, প্রায় ২০০ বছর আগে ১৮৩২ সালে স্বাধীনতার আগে অবিভক্ত বাংলায় নকিপুরের জমিদার হরিনারায়ণ চৌধুরি কালিন্দী নদীর চরে ঘন জঙ্গল বাদাবন লিজ নেন। সেখানেই কৈলাশ মৃধার বাড়ির সামনে ধানের গোলায় পাশেই শ্রী হরির আবির্ভাব হয়। বছরের বিশেষ দিনে সেখানে উজ্জ্বল আলো জ্বলত। সেই থেকেই শুরু হয় বছরের মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে সুন্দরবনের কালিন্দি নদীতে মেলা। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তরা হরির বিগ্রহ নিয়ে এই মেলায় উপস্থিত হন৷ পাঁচ দিনব্যাপী মেলাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটে।
জুলফিকার মোল্লা