আরও পড়ুন: এই বেগুন চাষ করলে বছরে ১২ মাস’ই ফলন পাবেন!
ইতিহাস থেকে জানা যায়, এখানকার রামানন্দ রায় জমিদারের অধীনে দেরে গ্রামে বসবাস করতেন শ্রীরামকৃষ্ণের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়। তিনি আবার ভগবান রামের আরাধনা করতেন। সংসারে অভাব থাকলেও ঈশ্বর সাধনায় বিন্দুমাত্র ঢিলে দেননি। তবে এক সময় নাকি জমিদারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি কামারপুকুর লাহাবাড়ির জমিদারিতে চলে আসেন।
advertisement
পুরনো ইতিহাস থেকে আরও জানা গিয়েছে, রামানন্দ রায় এক অত্যাচারী জমিদার ছিলেন। একটি জমি দখল করার জন্য ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়কে মিথ্যে সাক্ষী দিতে বলেন। কিন্তু সৎ ধর্ম প্রাণ ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় তাতে রাজি হননি। তারপরই জমিদার লাঠিয়াল পাঠিয়ে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়কে ধরে এনে বন্দি করে রাখেন। পরে লাঠিয়ালদের মধ্যে শিবু চাড়ালের সহাতায় তিনি কামারপুকুরের লাহাবড়িতে পালিয়ে আসেন। তার পর থেকে লাহা জমিদারের আনুকুল্যেই কামারপুকুরে বসবাসশুরু করেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এমন এক ইতিহাসের সাক্ষী হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন অবহেলায় পড়ে ছিল এই দেরে গ্রামে রামকৃষ্ণদেবের পূর্বপুরুষের ভিটে। অবশেষে স্থানীয়রাই উদ্যোগ নিয়ে এই পবিত্র ভূমিতে আশ্রম গড়ে তোলেন। এখানে বহু মানুষ প্রতিদিন প্রার্থনা করতে আসেন, অনেকভক্ত সমাগম হয়। এই আশ্রমে বিভিন্ন এলাকার গরিব শিশুদের বিনামূল্যে লেখাপড়া করার ব্যবস্থাও আছে।
শুভজিৎ ঘোষ