এর আগে ২০১৫ সালে একটি বিদেশি দল ৫,৫৫০ মিটার পর্যন্ত উঠেও খারাপ আবহাওয়ার কারণে অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। গত ২৯ জুলাই কলকাতা থেকে দারচা উদ্দেশে রওনা হয় পাঁচ সদস্যের দলটি। দলের সদস্যরা হলেন—অর্পিতা রায় (হিন্দমোটর), অনুসূয়া দে (গুড়াপ), ময়ূর বণিক (বর্তমানে হিমাচলপ্রদেশে বসবাসকারী), নির্মল কুমার (উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা) এবং সোনারপুরের শুভেন্দু মণ্ডল।
advertisement
জবা ফুল ফুটবে টবেও! মানুন এই ৯টি নিয়ম, প্রতি দিন পুজোর ফুলে উপচে পড়বে গাছ!
অভিযানের প্রথম চার-পাঁচ দিন ছিল প্রবল চ্যালেঞ্জিং—অবিরাম তুষারপাত, তীব্র ঠান্ডা আর দমকা হাওয়ায় শিবিরে আটকে থাকতে হয়েছিল তাদের। তবে পঞ্চম দিন থেকে আবহাওয়া ধীরে ধীরে উন্নতি হলে শুরু হয় মূল আরোহণের প্রস্তুতি। নির্দিষ্ট সময়ে পরিকল্পনা মেনে এগোতে গিয়ে দলের মনোবলই ছিল সবচেয়ে বড় শক্তি।
৬ অগাস্ট ভোররাতে চূড়ান্ত আরোহণ শুরু শুভেন্দু, সঙ্গে দুই শেরপা। দীর্ঘ সময় ধরে কঠিন ঢাল বেয়ে ওঠার পর, সকাল ৩টা ০৬ মিনিটে শীর্ষে পৌঁছে যায় তারা। এই সাফল্য শুধু দলের জন্য নয়, ভারতের পর্বতারোহণ ইতিহাসেও নতুন অধ্যায় যোগ করল। শুভেন্দু জানান, অনামী শৃঙ্গ জয় করা মানে শুধু উচ্চতার রেকর্ড নয়, প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর সংলাপ যেখানে ধৈর্য, সাহস আর দলগত চেতনার জয় হয়।