আরও পড়ুন: দোলুয়াখাকির আক্রান্তদের রোজগারের ব্যবস্থা করল বামেরা
এই দ্বীপে একসময় ছিল বিষধর সব সাপের বাস। কেউটে, শাঁখামুটি, শঙ্খচূড় সহ আরও অনেক সাপ যত্রতত্র ঘুরে বেড়াতো। সেই সাপের হাত থেকে বাঁচতে দ্বীপের বাসিন্দারা শুরু করেছিলেন দেবী মনসার পুজো। সেই রীতি আজও চলে আসছে। এরপর এই পুজো এগিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় মা মনসা যুবক সংঘ। একসময় এই দ্বীপে প্রায় প্রতিদিন সাপের কামড়ে মানুষ মারা যেত। সাপের কামড়ের পর তাকে চিকিৎসার জন্য মূল স্থলভাগে আনার পথে মারা যেত অনেকেই। অগত্যা এই বিপদ থেকে বাঁচতে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে শীতকালে শুরু হয়েছিল অকাল মনসা পুজো।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
গ্রামবাসীদের দাবি, তারপর থেকে আর সাপের কামড়ে এলাকার বাসিন্দারা গণহারে মারা যায়নি। সেই শুরু। এরপর প্রায় ৩০ বছর ধরে চলে আসছে মৌসুনি দ্বীপের এই মনসাপুজো। পুজো উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে চলে মেলা। তবে এখন আর সাপের কামড়ে কেউ মারা পরেন না। যদিও এই দ্বীপে এখনও রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার ঘাটতি। হঠাৎ কোনও দুর্ঘটনা বা অন্য অসুখে এখনও সমস্যায় পরেন মানুষজন।
নবাব মল্লিক