আরও পড়ুন: কোভিডের ধাক্কা কাটাল হাতি-গন্ডার, জলদাপাড়ায় খুশির ভিড়
তবে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে হারিয়ে যাচ্ছে টিনের ট্রাঙ্ক ও টিনের সুটকেস। বাজারে এসে গিয়েছে অত্যাধুনিক স্টিল ও প্লাইউডের আলমারি, ফাইবার বা কাপড়ের হাল্কা ট্রলি ব্যাগ। সেইসঙ্গে ট্রলি ব্যাগে লাগানো থাকছে চাকা। ফলে, পরিবহণযোগ্য হওয়ায় ফাইবারের সুটকেসের ট্রলি ব্যাগের চাহিদা বাড়ছে। তুলনায় অনেকটাই কমছে টিনের ট্রাঙ্কের বাজার। বিক্রি কমে যাওয়ায় চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিন কাটছে মুর্শিদাবাদের কান্দি শহরের লোহাপট্টির টিনের বাক্স তৈরির কারিগররা। তবুও সংসার চালাতে পুরনো পেশাকে আঁকড়ে ধরেই বাঁচতে চাইছেন সেখানকার ট্রাঙ্ক ও সুটকেসের কারিগরেরা।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কলকাতা থেকে টিনের শিট আনিয়ে তৈরি হয় এই ট্রাঙ্ক। দিনে কিছু সংখ্যক ট্রাঙ্ক বিক্রি করে তা দিয়েই কোনোরকমে চলে সংসার। আগে বিক্রি হত দিনে ১২ থেকে ১৪টি টিনের ট্রাঙ্ক, সেখানে এখন প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে একটি থেকে বড়জোর দু’টি। ফলে কারিগররা ট্রাঙ্ক তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন কম। উৎপাদন কম, তাই রোজগারও কমেছে কারিগরদের। আগে যেখানে সারা দিনে ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে পাঁচ থেকে ছ’শো টাকা রোজগার হত, এখন সেটা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।
কৌশিক অধিকারী