আরও পড়ুন: কোভিডের ধাক্কা কাটাল হাতি-গন্ডার, জলদাপাড়ায় খুশির ভিড়
ভাগীরথী বাউল-ফকির উৎসবে গানের আসরে ছিল মনের মানুষের খোঁজ। ‘ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ পার্ক’ প্রাঙ্গনের আমবাগানে বাউল, ফকিররা শুরু করলেন মনের মানুষের খোঁজ। গানে গানে বেলা গড়াল। তবে গান থামল না। এ গান থামার নয়, জানালেন আকাশ ফকির। তিনি এই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনিই জানালেন, আগের বারের থেকেও এবারে বেশি সাড়া পাওয়া গিয়েছে। এবার উৎসবে অনেক বেশি মানুষ যুক্ত হয়েছেন, পরিধিও বেড়েছে। সঙ্গে রয়েছে আক্ষেপের সুর।
advertisement
বাউল, ফকিরদের লোকায়ত গান শুনতে, সুরে ভাসতে আমবাগানে ভিড় করেছিলেন মুর্শিদাবাদ সহ অন্যান্য জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। এই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভাগীরথী, গঙ্গা নদী। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আম বিখ্যাত। তাই মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যে এবং বাংলাদেশ থেকেও এসেছিল বহু শিল্পীরা। এপার বাংলা, ওপার বাংলা দুই বাংলা মিলে গেল ভাগীরথী বাউল-ফকির উৎসবে
তবে শুধু আমবাগানে নয়, প্রাণের মুর্শিদাবাদ শহরের রাস্তাজুড়ে চলে উৎসবের মহড়া। লালবাগে প্রভাত ফেরির মাধ্যমে শুরু হয় ভাগীরথী বাউল-ফকির উৎসব। প্রভার ফেরিতে শামিল হয় জেলার কচিকাঁচা থেকে বিশিষ্টজনেরা। মানুষের সাড়া পেয়ে খুশি উদ্যোক্তারাও । মুর্শিদাবাদের ঐতিহাসিক পার্কের আমবাগানে দু’দিন ধরে চলে এই উৎসব। ভাগীরথী বাউল-ফকির উৎসবের প্রাঙ্গনে সারাদিন ব্যপী বহু মানুষের আনাগোনা হয়।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
উদ্যোক্তাদের কথায়, মুর্শিদাবাদের আলকাপ, বাউল ফকিরি গান, মালদহর গম্ভীরায় জাতপাতের বেড়া নেই। লোক সংস্কৃতির উঠোনে সব ধর্মের মানুষজন একসঙ্গে পাত পেড়ে খান, একসঙ্গে ঘুমোন। আসরে একসাথে গান ধরেন ‘শুন হে মানুষ ভাই’। এঁদের একটাই পরিচয়, তাঁরা শিল্পী। এই ভাবনার অনুসারী হয়েই শুরু হয়েছে ভাগীরথী বাউল-ফকির উৎসব। ফলে অশান্ত সময়ে ভাগীরথী বাউল ফকির উৎসব আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠছে মানুষের মিলনমেলা। দু’দিন ধরে চলে এই উৎসব। সন্ধে নামতেই শুরু হয় শুধুই গান আর গান, কোনরকম সঙ্কীর্ণতার বেড়া ছাড়াই। বাউল, আলকাপ শুনতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ ।
কৌশিক অধিকারী