বিপ্লব প্রমাণ করতে চাইছেন যে, এই ধরনের যাত্রা শুধু বাস্তবসম্মতই নয়, বরং পেট্রোলচালিত যানবাহনের তুলনায় অনেক বেশি খরচ সাশ্রয়ী এবং দূষণমুক্ত। বিল্পব এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমার প্রত্যেকটা জার্নিতেই কিছু না কিছু বার্তা থাকে। সেরকমই এবার আমি ভাইজ্যাক যাচ্ছি ইলেকট্রিক বাইক নিয়ে। এর মাধ্যমে দিতে চাইছি পরিবেশ দূষণ বন্ধ করার বার্তা। তেলের বাইকে পরিবেশ দূষণ হলেও এই ইলেকট্রিক বাইকে কোনও দূষণ হবে না।”
advertisement
বিপ্লব মঙ্গলকোটের এক প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে। বর্তমানে বাজেপ্রতাপপুর, বর্ধমান শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। এর আগেও তাঁর রয়েছে বহু রোমাঞ্চকর অভিযান দার্জিলিং, নেপাল, কেদারনাথ সহ-একাধিক দূরবর্তী স্থানে তিনি সাইকেল চালিয়ে গিয়েছেন পরিবেশ ও সড়ক সচেতনতার বার্তা দিতে। তবে এবার সঙ্গী ইলেকট্রিক বাইক।
ভাইজ্যাক পৌঁছতে প্রায় দশ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বিপ্লব। পথের অভিজ্ঞতা তিনি নথিভুক্ত করবেন এবং ফিরে এসে তা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন বলেও জানিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় যখন গোটা দেশ উদ্বিগ্ন, তখন বিপ্লবের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রেরণাদায়ক এবং অভিনব। ইলেকট্রিক বাইকের ব্যবহার প্রসারে এই যাত্রা হতে পারে এক নতুন উদাহরণ।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী