কলকাতা থেকে মালদা কিংবা রায়গঞ্জ বা শিলিগুড়ি যাত্রীদের একটা বড় অংশের চলাচল প্রতিদিন লেগেই থাকে ফরাক্কা ব্যারেজের উপর দিয়ে। সম্প্রতি ফরাক্কা এলেই নজরে আসে কাজ চলতে থাকা দ্বিতীয় ফরাক্কা সেতুর দিকে। যানজট যেভাবে প্রতিদিন বাড়ছে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় সেতু চালু হলে অনেকটাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: থানা তো নয়, যেন আস্ত…! পুলিশ সুপার দেখতে এসেই রীতিমত ‘থ’
advertisement
মুর্শিদাবাদ থেকে মালদা যাওয়ার সড়ক পথে ও রেলপথে পড়ে এই ফরাক্কা সেতু। ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই ব্যারেজের ওপর অবস্থিত সড়ক পথ ও রেলপথ। বারাসত থেকে ডালখোলা হয়ে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়কের কাজ অধিকাংশ জায়গায় সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে পুরোনো সেতু থেকে ৩০ মিটার দূরে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় পরিবহণ মন্ত্রকের অনুমোদনের পর। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি মালদায় বৈষ্ণবনগরের লক্ষ্মীপুর এবং মুর্শিদাবাদে ফরাক্কার গঙ্গার উপরে সোজাসুজি চার লেনের দ্বিতীয় সেতুর কাজের সূচনা হয়। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয় ৫২১ কোটি টাকা। দীর্ঘ ছ’বছর ধরে কাজ করে আগামী বেশ কিছু দিনের মধ্যেই একটি লেন চালু করে দেওয়া হবে। ফলে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার জন্য আর লাগবে না বেশি সময়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সারা দেশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতকে রেল ও সড়ক যোগাযোগে জুড়তে ছয়ের দশকে গঙ্গার উপর ফরাক্কা ব্যারেজ ও সেতু তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷ ১৯৭২ সালে প্রায় ২৪০০ মিটার লম্বা সেই সেতু চালু করা হয় ৷ কিন্তু একই সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ থাকায় সেতুর উপর চাপ বাড়ছে ৷ মাঝেমধ্যে সেতুর বিভিন্ন অংশ খুলে পড়ছে ৷ ফলে বিকল্প সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বর্তমানে সেই সেতুর কাজ শেষের দিকে৷ অন্যদিকে পুরোনো রেল সেতুর ওপর চাপ কমাতে দ্বিতীয় রেল ব্রিজ নির্মিত হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ফলে রেল সেতু আগামী দিনে নির্মাণ করা হবে। আর সেই কারণেই প্রথম সেতুর উপর চাপ অনেকটাই কমে যাবে ৷ নতুন সেতু চালু হলে আর যানজট পোহাতে হবে না সড়ক পথে। অতি দ্রুততার সঙ্গে উত্তরবঙ্গ পৌঁছে যাবেন ভ্রমণপিপাসুরা।
জাতীয় সড়ক প্রকল্প আধিকারিক পি ভি স্বামী বলেন, ‘ফরাক্কা থেকে মালদা যেতে বাঁদিকের প্রথম লেন সম্ভবত ১৫ জুলাই থেকে যান চলাচল শুরু করে দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ অল্প কিছু কাজ রয়েছে সেটা শেষ হয়ে যাবে। অন্য লেনে পুজোর আশেপাশে দ্বিতীয় লাইনটিও যাত্রী সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
কৌশিক অধিকারী





