আরও পড়ুন- সমুদ্রের জলে ডুবে আছে আর একটা ‘পৃথিবী’? বিজ্ঞানীদের ‘বিরাট’ আবিষ্কারে চমকে গেল দুনিয়া…কী দেখা গেল জানেন?
একসময়ের এই দুর্গম পথ সে দেশের মানুষ তথা বিশ্ববাসীর কাছে অন্য ভাবে পরিচিত। ১৯৫৯ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামকে আমেরিকার আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে হো চি মিনের নেতৃত্বে ‘ ভিয়েতনাম কং ‘ নামের সেনাবাহিনী গঠন হয়। উত্তরের লাওস থেকে দক্ষিণের কম্বোডিয়া পর্যন্ত প্রায় ১২০০ কিমি জঙ্গলি পথে অস্ত্র এবং সেনাবাহিনী সরবরাহ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- মৃত্যুর ঠিক আগেই ‘মলত্যাগ’ করে মানুষ, কেন জানেন…? চমকপ্রদ ‘সত্যিটা’ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
খবর মার্কিন সেনা তাঁবুতে পৌঁছতেই সেই পথ ধ্বংস করতে মার্কিন সেনা বিপুল পরিমাণে বোমা নিক্ষেপ করে। সেই রাস্তা ধ্বংসের পাশাপাশি অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বারুদের আঁচে শুধুই মৃত মানুষের দেহ। ঘটনার পর সেই রাস্তার নাম হয়েছিল ‘ভাজা মাংসের পাহাড়’ ও ‘মৃত্যুর দরজা’। আবার অনেকেই এই ভয়ানক পথকে ‘হারিয়ে যাওয়া আত্মার ঘাট’ হিসাবেও নামকরণ করে। তবে মার্কিন সেনার কাছে মাথা নত বা ভয়ে পিছিয়ে পড়েনি ভিয়েতনাম। আবারও সেই ধ্বংসাত্মক পথ ধরেই ভিয়েতনামের সাধারণ মানুষ লড়াইয়ে নামে। মার্কিন সেনার চোখ ফাঁকি দিয়ে। সেপথ দিয়ে সাইকেলে করে সেনাদের অস্ত্র ও খাবার যুগিয়ে ছিল তারা। কঠিন লড়াই শেষে দক্ষিণ ভিয়েতনাম আমেরিকার আগ্রাসন থেকে মুক্তি পায়। পরবর্তী সময়ে ভিয়েতনামের কিংবদন্তি নেতা হোচি মিন এর নামেই নামকরণ করা হয় ‘হো চি মিন ট্রেইল’।
প্রায় ৯০০ কিমিসেই ঐতিহাসিক পথ সাইকেলে পাড়ি দিতে রওনা দিচ্ছে তিন বঙ্গ সন্তান। তিন অভিযাত্রীরা হলেন পর্বত আরোহী এভারেস্ট জয়ী মলয় মুখার্জী, সাংবাদিক দেবাশীষ চক্রবর্তী ও প্রকৃতিপ্রেমী পার্থ হাজরা। ৮ই ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে পৌঁছে সেখান থেকেই সাইকেল যাত্রা শুরু করে বিখ্যাত হো চি মিন ট্রেইল। ইন্ডিয়া- ভিয়েতনাম বন্ধুত্বপূর্ণ এই সাইকেল যাত্রার মূল বার্তা – পরিবেশ রক্ষা করো, বাঁচা পৃথিবী বাঁচাও । তিনজন সাইকেল অভিযাত্রী ছাড়াও হাওড়া অ্যাডভেঞ্চার দলের বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করতে ভিয়েতনাম পাড়ি দিচ্ছেন।
ঐতিহাসিক এই যাত্রার আগে ক্রিকেটের নন্দনকাননে বাংলা তথা জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা এবং লক্ষ্মী রতন শুক্লা শুভেচ্ছা জানান তিন অভিযাত্রীকে। হাওড়ার ক্লাইম্বের কাছে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় এবং হাওড়া নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি অভিযাত্রীদের উৎসাহ দিতে তাঁদের জাতীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
রাকেশ মাইতি