বর্ধমান শহরে পোশাক থেকে শুরু করে ফুটপাতে নানান সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন অনেকেই। অনেকে কাপড়ের দোকানে কর্মচারীর কাজ করে সংসার চালান।সেই সব দোকানের কর্মচারীরা বলছেন, গতবছর লকডাউনের সময় অনেককেই কাজ হারাতে হয়েছিল। রাতারাতি কাজ হারিয়ে খুবই সমস্যার মধ্যে পড় ছিলেন অনেকেই। নিউ নরমালে সংসার চালাতে পাড়ায় পাড়ায় সবজি বিক্রির কাজ খুঁজে নিয়েছিলেন কেউ কেউ। আবার সেই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে চলেছি আমরা।
advertisement
তাঁরা বলছেন,সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বেলা বারোটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত কাপড়ের দোকান খোলা রাখা যাবে। কিন্তু ট্রেন বাস সহ যাবতীয় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তার ফলে দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতাদের দেখা মিলবে না বললেই চলে। বিক্রি বাটা কমে যাওয়ায় অনেক মালিকই দোকান বন্ধ রাখবেন। ফলে কাজ হারাতে হবে কর্মচারীদের। একই কথা বলছেন বর্ধমান শহরের হকারদের অনেকেই।
কয়েক হাজার যুবক টোটো, ই রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁরা বলছেন, সারাদিন টোটো চালিয়ে দু চারশো টাকা আয় হচ্ছিল। তাতে কোনও রকমে সংসার চলে যাচ্ছিল। আগামীকাল থেকে সেই উপার্জনটুকুও বন্ধ। তাই কিভাবে সংসার চলবে তা ভেবে উঠতে পারছি না।
রাজ্যের অন্যান্য অংশের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ব্যাপক আকার নিয়েছে।এই জেলায় ইতিমধ্যেই 27 হাজার বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আড়াইশো কাছাকাছি বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। প্রতিদিনই এখন শয়ে শয়ে বাসিন্দা নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।সেই পরিস্থিতি বিচার করে এই বিধি-নিষেধকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।কিন্তু দিন আনি দিন খাই বাসিন্দারা কিভাবে সংসার চালাবেন তা ভেবে উঠতে পারছেন না।