একই সঙ্গে সুকান্তকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় আসার জন্য চ্যালেঞ্জ জানান।কল্যাণ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন শুধু একজন ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিক, তারপর দেখুন কী হয়। আমরা সব কিছু অচল করে দেব। ওই ছেলেটা যে মন্ত্রী হয়েছে, তাকে বলুন সিআইএসএফের গুলি তাদের লাগবে। সাহস থাকলে শ্রীরামপুরে আসুন। দেখি কীভাবে বাড়ি ফেরেন।’
advertisement
সুকান্ত মজুমদার রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি, বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং সাংসদ। তাঁকে ‘তুই তোকারি’ করে কল্যাণ সম্বোধন করায় জোর বিতর্ক তৈরি হয়। এদিকে কল্যাণের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে শনিবারই এবার কল্যাণগড়ে সুকান্ত। শুধু যে বাইক ব়্যালি করে সুকান্ত দাপট দেখালেন এমনটা নয়, শ্রীরামপুরের বৈদ্যবাটিতে কর্মী সম্মেলনও করলেন সুকান্ত।
এদিন শ্রীরামপুরের দাঁড়িয়ে SIR ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দাগেন সুকান্ত। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাণ রয়েছে SIR-এর মধ্যে। ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবেই’, বলে স্পষ্ট বার্তা দেন সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, ‘ আগুনকে ভয় পাই না। পুলিশ না থাকলে ১৫ মিনিটে তৃণমূলের সব অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ সরিয়ে এসো, দেখব কার কত ক্ষমতা।’ ছাব্বিশে বিজেপিই আসছে ক্ষমতায়, বলেও এদিন হুঙ্কার করেন সুকান্ত।
হুঙ্কারের সুরে সাংসদ বলেন, ‘কল্য়াণদা যদি খেলতে ডাকে তাহলে আমি কর্মীদের বলে দিচ্ছি ভাল করে খেলুন।’ যদিও সুকান্ত স্পষ্ট করেন, ‘আমাদের খেলতে ডাকলে আমরা খেলব। আমি খেলতে খুব ভালবাসি। কল্যাণদা কী খেলতে চায় সেটাই খেলব। চ্যালেঞ্জ আমি আগেই গ্রহণ করেছি। আমি তো শ্রীরামপুরেই দাঁড়িয়ে আছি। যে চ্যালেঞ্জ করেছিল সে ছুঁ কিতকিত করতে করতে ফুঁস হয়ে গিয়েছে।’ আর সবশেষে কল্যাণবাবুকে ‘মিষ্টি’ আমন্ত্রণ জানিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘আপনি বালুরঘাটে আসুন, আমার বাড়িতে এসে এক কাপ চা খেয়ে যাবেন’। এভাবে তৃণমূল সাংসদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে কল্যাণগড়ে সুকান্তর যাত্রা বিজেপির ‘শক্তি প্রদর্শনে’র উদাহরণই বলছে রাজনৈতিক মহল।