ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে ক্রমেই ধস নামছে বিজেপিতে। পরপর দু’দিন ধরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে শয়ে শয়ে বিজেপি কর্মীর যোগদান ঘিরে উচ্ছ্বাস শাসকদলে। সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের তপশিয়ায় অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী মঞ্চ থেকেই ৫0টি পরিবারের প্রায় ৭৫ জন বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।
advertisement
সোমবার নতুন যোগদানকারীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জেলা নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডা. খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, জেলা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মহাশীষ মাহাতো, সাধারণ সম্পাদক লোকেশ করসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির ভেতরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও হতাশার জেরেই একের পর এক কর্মী তৃণমূলে ফিরছেন।
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। এখন থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে এর আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। এই আবহে গেরুয়া শিবিরে ধস! তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করেছিলেন রবিবারও। ২০২৬ সালের ভোটের আগে ঝাড়গ্রামে পরপর ধাক্কা খাচ্ছে পদ্ম ব্রিগেড। সেই সঙ্গেই এতে তৃণমূলের মনোবল আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রবিবার ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ব্লকের খড়িকামাথানিতে তৃণমূলের ব্লকস্তরীয় বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে বিজেপির শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে নাম লেখান। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই সংগঠন মজবুত করতে তৎপর শাসকদল।