দলের তৎকালীন জেলা সভাপতি সমিত দাস (টুটুল) নিজে ও প্রতিনিধি মারফত টাকা নিয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে এই কল রেকর্ডে। অথচ প্রতিশ্রুতিমতো মেলেনি বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে টিকিট। আর এখানেই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার কাছে প্রতারিত হয়েছেন বলে মনে করছেন বিজেপির এই দাপুটে নেতা।
এই কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আসার পরেই চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। জন্মেঞ্জয়ের দাবি, তিনি কোথাও কোনও অভিযোগ করবেন না। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি জানে। তাঁরা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী তিনি। তাঁর আরও সংযোজন, ''প্রতারক সব দলেই থাকে। এখানেও রয়েছে আর এর ফলেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।'' অভিযোগ অবশ্য সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্য বিজেপির বর্তমান সহ সভাপতি সমিত দাস। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই চক্রান্ত করা হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে। এমন ঘটনার কোন সত্যতা নেই। অস্বস্তির মুখে পড়ে মুখ খুলতে রাজি নয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিষয়টি জানা নেই বলে সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছেন জেলা বিজেপি সভাপতি তাপস মিশ্র।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনের সাধারণ কামরার জন্য পূর্ব রেলের নতুন নিয়ম, প্রত্যেকের জানা উচিৎ
উল্লেখ্য, ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে নারায়ণগড় বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়াই করেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রমাপ্রসাদ গিরি। ২৪১৬ ভোটে তৃণমূলের নেতা সূর্য অট্টের কাছে হেরে যান রমাপ্রসাদ গিরি। এরপর থেকেই ক্রমেই তলানিতে নারায়ণগড়ে বিজেপির সংগঠন।
আরও পড়ুন: নাকা চেকিংয়ে থামল পরপর দুটি গাড়ি, ভেতর থেকে যা উদ্ধার হল, পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ
এমন অডিও রেকর্ড প্রকাশ্যে আসার পর কটাক্ষ করতে অবশ্য দেরি করেনি তৃণমূল শিবির। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় থেকে তথাগত রায়ের উদাহরণ টেনে এনে বিজেপিকে বিঁধেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতির দাবি, ''বিজেপি যে টাকা নিয়ে প্রার্থীর টিকিট বিক্রি করে তা আগেই বলেছিল তথাগত রায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু জন্মেজয় নয় আরও অনেকের কাছে টাকা নেওয়া হয়েছে, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সব জানে। নিজেদের গা পরিষ্কার রাখার জন্য অন্যদের দিকে কাটমানির অভিযোগ তোলে বিজেপি।'' এই ঘটনা বিজেপির অন্দরের কলহকে আরও প্রকাশ্যে এনে দিল বলেই মত জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
---শঙ্কর রাই