বেলুড় মঠ হল রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সদর দফতর যা রামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এটি ভারতের হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি বাংলা তথা দেশের উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি ।
স্বামী বিবেকানন্দের ভ্রাতা-সন্ন্যাসী এবং রামকৃষ্ণের সন্ন্যাস শিষ্যদের একজন স্বামী বিজ্ঞানানন্দ, যিনি তাঁর প্রাক-সন্ন্যাসী জীবনে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, বিবেকানন্দের ধারণা অনুসারে মন্দিরটির নকশা করেছিলেন এবং বেলুড় মঠের তৎকালীন সভাপতি স্বামী শিবানন্দ মহারাজ ১৯২৯ সালের ১৩ মার্চ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন | বিশাল নির্মাণকাজটি পরিচালনা করেছিলেন মার্টিন বার্ন অ্যান্ড কোং | মিশন বেলুড় মঠকে ‘স্থাপত্যের একটি সিম্ফনি’ হিসাবে ঘোষণা করে |
advertisement
ভারতের ডাকটিকিটগুলির একটি দীর্ঘ এবং বৈচিত্র্যময় ইতিহাস রয়েছে। এবং এখানে প্রচুর সংখ্যক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছে | ভারতীয় ডাক বিভাগ ডাকটিকিট ব্যুরো পরিচালনা করে, আমানত ভিত্তিক ডাকটিকিট পরিষেবা পরিচালনা করে। লাইন খোদাই , টাইপোগ্রাফি , লিথোগ্রাফি , ফটোগ্রাভার এবং ওয়েব-অফসেট সহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে এগুলি তৈরি করা হয়েছে |
স্বাধীন ভারতের প্রথম ডাকটিকিট প্রকাশিত হয় ১৯৪৭ সালের ২১ নভেম্বর | আর ভারতীয় ডাক বিভাগ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ডাকটিকিট প্রকাশ করে আসছে বছরের পর বছর ধরে | সেই মতো এবার হাওড়ার অন্যতম স্থাপত্য বেলুড় মঠের ছবি স্ট্যাম্প আকারে উন্মোচিত হল যা ভারতবাসী তথা হাওড়ার জন্য গর্বের বিষয়। বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত পোস্টমাস্টার জেনারেল দক্ষিণবঙ্গ ঋজু গঙ্গোপাধ্যায় বেলুড় মঠের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ভারতীয় ডাক বিভাগের এই স্টাম্প প্রকাশের বিষয় তুলে ধরেন।
রাকেশ মাইতি





