তারাফেনী ব্যারেজ হল ঝাড়গ্রামের তারাফেনী নামক শান্ত নদীর উপর অবস্থিত একটি ছোট মনোরম বাঁধ। এই এলাকার অন্যান্য বৃষ্টি নির্ভর নদী তারাফেনী তার নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হওয়ায় এটিকে শান্ত বলা হয়। বেলপাহাড়ি গ্রাম থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, এই ছোট ব্যারেজটি আকাশের বিপরীতে প্রকৃতির অত্যাশ্চর্য দৃশ্য উপস্থাপন করে। ঝাড়গ্রামে চারটি অপ্রয়োজনীয় নদী রয়েছে, যথা কংসাবতী, সুবর্ণরেখা, ডুলুং এবং তারাফেনী, যার মধ্যে শেষটি সবচেয়ে শান্ত। বিনপুর এবং বেলপাহাড়ি অতিক্রম করার পর, তারাফেনী অবশেষে কংসাবতী নদীর সঙ্গেমিলিত হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: হাঁস, মুরগির ডিম, মাংসের পিছনে আর কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ নয়! দাম কমাতে এবার বড় পদক্ষেপ প্রশাসনের
বর্ষায় পাহাড় আরও সবুজ হয়ে ওঠে। নদী, জলপ্রপাতও ফুলেফেঁপে ওঠে। বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। তবে ভয়ও কম নেই। অতি বৃষ্টি, ধস— এই সব কিছুর ভয় রয়েছে। প্রকৃতি কখন রূপ বদলায় কেউ জানে। তাই বর্ষায় ঝুঁকি নিয়ে এই সব জায়গায় বেড়াতে না যাওয়াই ভাল। ঘুরে আসুন জঙ্গলমহলের বেলপাহাড়ির মনোরম বাঁধ তারাফেনি। বর্ষায় এখানকার নদী, জলপ্রপাত, পাহাড়ি গ্রামগুলি মায়াবী হয়ে উঠে। না এলে আপনি মিস করবেন। এই বর্ষায় তারাফেনী ব্যারেজ ছাড়াও আপনি ঘুরে দেখতে পারেন ঘাগরা জলপ্রপাত, খাঁদারানী ড্যাম, কানাইসর পাহাড়, সাদা পাহাড়, হাঁসা ডুঙ্গরি সহ নানা স্পট।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আসবেন কীভাবে?
সড়কপথে কলকাতা থেকে বেলপাহাড়ির দূরত্ব ২০০ কিলোমিটারের মত। কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম হয়ে বেলপাহাড়ি যেতে পারেন বিভিন্ন জায়গা ঘুরতে ঘুরতে। ঝাড়গ্রাম স্টেশনে এসে সেখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে বেলপাহাড়ি যেতে পারেন। কলকাতা থেকেও বেলপাহাড়ির বাস পাওয়া যায়। বেলপাহাড়িতে একাধিক হোটেল, হোম স্টে রয়েছে সেখানে থাকতে পারেন। কলকাতা ট্রেনে ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে ৪০ কিমি বেলপাহাড়ি। আর বেলপাহাড়ি থেকে ৭ কিমি ঘাগরা।
তন্ময় নন্দী