স্থানীয় বাসিন্দা বিধান দেবনাথ বলেন মূলত আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার যে পুজো হয় সেটি রানি পাহাড়ের, আর শ্রাবণ মাসের প্রথম রবিবার হয় রাজা পাহাড়ের পুজো। রাজা পাহাড়ে কানাইবাবার তথা শিবের পুজো হয়। কেন্দ্রাপাড়ার খেড়িয়া শবরেরাই রাজা পাহাড়ের মূল পূজক। আর রানি পাহাড়ে ‘সর’ মায়ের তথা মা দুর্গার পুজো হয়। এই পুজোর পূজক হলেন ঢেঙ্গাআম গ্রামের মাহালিরা। লুচি, মাংস ও কাঁঠাল খাওয়ার প্রাচীন চল রয়েছে এখানে।
advertisement
আসলে বর্ষার শুরুতে ভাল চাষের আশায় বৃষ্টির কামনায় পাহাড় পুজোয় শামিল হন মানুষজন। প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট রাখার ভাবনায় পাহাড় পুজো। এই কানাইসর পাহাড়ের অর্ধেক অংশ পড়ে বেলপাহাড়ি ব্লকের সন্দাপাড়া পঞ্চায়েতের মধুপুর মৌজায়। বাকিটা পড়ে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ব্লকের মধ্যে। দুই রাজ্যের সীমান্তে কয়েক বর্গমিটার জুড়ে পাহাড়টির অবস্থান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা গবেষক সাগ্নিক দাস বলেন এদিন এক অনন্য পুজোর সাক্ষী থাকলাম।
প্রতিবছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ভিড় জমান এই কানাইসর পাহাড়ের পুজো দেখার জন্য। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজা পাহাড়ের পুজো দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্যই এখানে পুজো দিতে আসেন। মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরাই উপচার পালন করেন তা নন। আবার মুণ্ডাদের আরাধ্য দেবতা ‘সিংবোঙ্গা’ আসলে পাহাড় দেবতা।