TRENDING:

Jhargram Temple: ডুলুং নদী পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না প্রসাদ, জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না মহিলারা

Last Updated:

Jhargram Temple: এই পুজোতে কোনও মহিলার প্রবেশ নিষিদ্ধ। এমনকি প্রসাদও মহিলাদের খাওয়ার বিধান নেই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তন্ময় নন্দী, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলে রয়েছে এমন একটি পাহাড় যেখানে মহিলাদের যাওয়া নিষিদ্ধ। আপনি কি জানেন সেই পাহাড়টি কোথায় রয়েছে? শ্রাবণ মাসের প্রথম রবিবার এই পাহাড়ে হয় পুজো। ১৬ টি মৌজার মানুষ অংশ নেন এই পুজোতে। এই পুজোতে কোনও মহিলার প্রবেশ নিষিদ্ধ। পাশাপাশি ডুলুং নদী পেরিয়ে নিয়েও যাওয়া যাবে না প্রসাদ। নদীর এপারেই বসেই খেতে হবে প্রসাদ। বেলপাহাড়ির ‘কানাইসর’-এর রাজা পাহাড়ের পুজো ঘিরে রয়েছে নানা ইতিহাস।
advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা বিধান দেবনাথ বলেন মূলত আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার যে পুজো হয় সেটি রানি পাহাড়ের, আর শ্রাবণ মাসের প্রথম রবিবার হয় রাজা পাহাড়ের পুজো। রাজা পাহাড়ে কানাইবাবার তথা শিবের পুজো হয়। কেন্দ্রাপাড়ার খেড়িয়া শবরেরাই রাজা পাহাড়ের মূল পূজক। আর রানি পাহাড়ে ‘সর’ মায়ের তথা মা দুর্গার পুজো হয়। এই পুজোর পূজক হলেন ঢেঙ্গাআম গ্রামের মাহালিরা। লুচি, মাংস ও কাঁঠাল খাওয়ার প্রাচীন চল রয়েছে এখানে।

advertisement

আসলে বর্ষার শুরুতে ভাল চাষের আশায় বৃষ্টির কামনায় পাহাড় পুজোয় শামিল হন মানুষজন। প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট রাখার ভাবনায় পাহাড় পুজো। এই কানাইসর পাহাড়ের অর্ধেক অংশ পড়ে বেলপাহাড়ি ব্লকের সন্দাপাড়া পঞ্চায়েতের মধুপুর মৌজায়। বাকিটা পড়ে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া ব্লকের মধ্যে। দুই রাজ্যের সীমান্তে কয়েক বর্গমিটার জুড়ে পাহাড়টির অবস্থান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা গবেষক সাগ্নিক দাস বলেন এদিন এক অনন্য পুজোর সাক্ষী থাকলাম।

advertisement

আরও পড়ুন : হাতে অঢেল টাকা! বিনিয়োগে চরম লাভ! পড়াশোনায় দারুণ রেজাল্ট! শ্রাবণ অমাবস্যায় এই ৩ রাশির কপালে পাল্টাবে খেলা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
৪২০ বছরের প্রথা! একাদশীতে ১২ ঘণ্টার যাত্রার পর জঙ্গিপুরে পেটকাটি দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন
আরও দেখুন

প্রতিবছরই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ভিড় জমান এই কানাইসর পাহাড়ের পুজো দেখার জন্য। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রাজা পাহাড়ের পুজো দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা তাঁদের মনস্কামনা পূরণের জন্যই এখানে পুজো দিতে আসেন। মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরাই উপচার পালন করেন তা নন। আবার মুণ্ডাদের আরাধ্য দেবতা ‘সিংবোঙ্গা’ আসলে পাহাড় দেবতা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram Temple: ডুলুং নদী পেরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না প্রসাদ, জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির এই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন না মহিলারা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল