সংসার সামলানোর পাশাপাশি গোটা ঘরে একাধিক ডিজাইন, ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বেঁচে যাওয়া খাতায় নানান ছবি ফুটিয়ে তোলেন। পোট্রেট আঁকেন বিভিন্ন পুরানো বইয়ের পাতায়। প্রথাগত তালিম না থাকলেও এই গৃহবধূর শিল্পীসত্ত্বা এবং ভাবনা অবাক করবে।
আরও পড়ুন : তিলপাড়া জলাধার সংস্কারে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় জল কমিশনের! কবে খুলবে রাস্তা?
advertisement
একজন শিল্পীর তাঁর শিল্পসত্ত্বা প্রকাশ পায় তার লেখনি কিংবা রং তুলিতে। প্রতিটি চিত্রশিল্পী আকার ধরন ভিন্ন। কেউ সাদা কাগজের উপর রং তুলি দিয়ে, আবার কেউ পেন্সিল দিয়ে বিভিন্ন স্কেচ তৈরি করেন। তবে সম্পূর্ণ তালিম ছাড়াই এক গৃহবধূ যা করেন, দেখলে চমকে যাবেন। গত বছরের পুরনো বই কিম্বা, পুরানো টেস্ট পেপারের উপর ফুটিয়ে তুলছেন নানা ছবি। শুধু তাই নয়, সাদা কাগজে এঁকেছেন একাধিক পোর্ট্রেট থেকে দেব-দেবীর ছবি। বাড়ির অন্যান্য কাজের অবসরে এই গৃহবধূ যা করেন, জানলে চমকে যাবেন। তাঁর এই শিল্পসত্ত্বাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
আরও পড়ুন : দুয়ারে গঙ্গা, ঠিকানা জলের তলায়! আপাতত ভরসা ত্রিপলের ছাউনি
ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল ছবি আঁকার প্রতি। তবে কোনও কালেই শেখা হয়নি। পাননি প্রথাগত শিক্ষকের থেকে প্রশিক্ষণ। বিয়ের পর স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে সময় কাটানোর জন্য ডায়েরি, পেন্সিল নিয়ে বসে পড়া। বাড়ির সমস্ত কাজ সামলে বিভিন্ন ধরনের সৃজনশীল ছবি, পোর্ট্রেট ফুটিয়ে তোলেন সাদা কাগজে। তবে বাড়িতে থাকা পুরানো বইয়ের পাতায় তিনি সাজিয়ে তোলেন বিভিন্ন দেবদেবীর ছবি কিংবা মনীষীর ছবি। এছাড়াও বাড়ির দেওয়াল, সিড়ি নানান ছবি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরে বেলদার বাসিন্দা মমতা রায়। বাড়িতে ছোট মেয়ে, ঘরের কাজ সামলে তিনি ছবি আঁকেন। প্রথাগত তালিম না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন শিল্পীদের আঁকা দেখেই শিখেছেন ছবি আঁকা। ছবি আঁকার ব্যাকরণ না জানলেও তার আঁকা ছবি যেন প্রাণবন্ত। শুধু তাই নয়, অবসরে বিভিন্ন শিল্পী, গায়কদের ছবি এঁকেছেন তিনি। বাড়ির সিঁড়ি, দেওয়াল জুড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আল্পনা থেকে নানা ছবি। যা ঘরের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু তাই নয়, অবসর কাটাতে তিনি বসে পড়েন ছবি আঁকতে। স্বাভাবিকভাবে সংসার সামলে ছোট্ট একরত্তি মেয়েকে দেখাশোনার পাশাপাশি এই গৃহবধূ যা করেন, তা আপনাকে অবাক করে তুলবে। গৃহবধূর এই ভাবনাচিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে।