বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতাল সূত্রে খবর, শেখ মেহমুদ আলম (৩০) ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা রাত ৮ টা ২০ নাগাদ হাসপাতালে আসেন। ইসিজি করিয়ে পেইন কিলার দেওয়া হয়। হাসপাতালে এসে তার আরেকটি অ্যাটাক হয়। ৮ টা ৪০ নাগাদ আরেকটি সিপিআর দেওয়া হয়। লাভ হয়নি। ৮ টা ৫০ নাগাদ তার মৃত্যু হয়। সাড়ে ১০ টা থেকে হাসপাতাল চত্বরে কয়েক শো মানুষের জমায়েত হয়।
advertisement
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরমধ্যে দেহ রিলিজ হয়ে যাওয়ায় সেটি বাড়ির লোকের কাছে হ্যান্ড ওভার দিয়ে দেওয়া হয়। সেটি অ্যাম্বুল্যানসে তোলা হয়। রোগীর পরিজনরা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে সমস্ত চিকিৎসার ডকুমেন্ট চাইতে শুরু করে। হাসপাতাল জানায় কোর্ট অর্ডার ছাড়া এইভাবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়।
অভিযোগ, এমন পরিস্থিতিতে প্রায় দেড়শো লোক ইমারজেন্সি অবজার্ভেশন ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে পড়ে। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সেখানে থাকা দুজন রোগীকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের পক্ষ থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করতে হয়। নার্সিং কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হয়। বাইরের গেটেও ভাঙচুর চলে।
এই হাসপাতালে আলাদা করে কোনও কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। কাল রাতের ঘটনায় একজন নার্সিং স্টাফকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত। হাসপাতাল সূত্রে প্রাপ্ত গতকাল শুক্রবার রাতের শেষ তথ্য অনুযায়ী ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।