TRENDING:

East Medinipur News: শীত পড়তেই পোয়া বারো কুমোর পাড়ার,দেদার বিকোচ্ছে পোড়া মাটির টব

Last Updated:

প্লাস্টিক টবের তুলনায় মাটির টবে গাছ লাগালে গাছের বৃদ্ধি সঠিক থাকে। তীব্র গরমে মাটি র টবে গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয় না। আবার মাটির টবের গাছ লাগিয়ে অতিরিক্ত জল দিলেও চিন্তা থাকে না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
নন্দকুমার: শীত পড়ার আগেই খুশির ঢেউ কুমোর পাড়ায়। কারণ শীতের সময় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্রের চাহিদা থাকে ভালোই। শীত শুরুর সময় বিক্রি বাড়ে মাটির তৈরি টবের। শীতকালে বহু মানুষ বিভিন্ন ধরনের মরশুমী ফুলের বাগান তৈরি করেন। মূলত ছাদ বাগান বা বাড়ির একটু ফাঁকা জায়গায় ফুলের বাগান তৈরি করতে টবের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ মানুষ বাগানের জন্য মাটির টব পছন্দ করেন। ফলে এই সময় কুমোর পাড়ায় মাটির টব তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত।
advertisement

বর্তমান সময়ে সব কিছুরই বিকল্প বেরিয়েছে। একটা সময় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস ব্যবহৃত হত দৈনন্দিন কাজে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধাতুর পাশাপাশি প্লাস্টিকের নানান জিনিস ব্যবহৃত হয়, নিত্যদিনের প্রয়োজনে। সেই বিকল্পের ছোঁয়া ফুলের বাগান তৈরি করতেও। বাজারে বাগানের জন্য বিভিন্ন সাইজের প্লাস্টিকের টব পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের টব দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। প্লাস্টিকের টব মাটির তৈরি টবের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও। ধীরে ধীরে মানুষ আবার মাটির টবে গাছ লাগানোর দিকেই ঝুঁকেছে। এর ফলে শেষ কয়েক বছর মাটির তৈরি টবের চাহিদা বাড়ছে।

advertisement

আরও পড়ুন: দিঘার এখন অন্য মজা! শুধু সমুদ্র নয়, ঘুরতে গিয়ে মুখে হাসি পর্যটকদের

প্লাস্টিক টবে গাছ লাগানোর চেয়ে বহু মানুষ মাটির তৈরি টব বেছে নেয় বিজ্ঞানসম্মত কারণে। প্লাস্টিক টবের তুলনায় মাটির টবে গাছ লাগালে গাছের বৃদ্ধি সঠিক থাকে। তীব্র গরমে মাটি র টবে গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয় না। আবার মাটির টবের গাছ লাগিয়ে অতিরিক্ত জল দিলেও চিন্তা থাকে না। কিন্তু প্লাস্টিক টবে গাছ লাগালে রোদের তাপে দ্রুত উত্তপ্ত হয় টব এমনকি গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয়। মাটির টব তাপ নিষ্কাশন করতে পারে। তাই মানুষ বাগান তৈরিতে মাটির টবকে বেছে নেয়।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: ১১ টাকার মাস্টার! শিক্ষার আলো আসছে জীবনে

নন্দকুমার এর দক্ষিণ ধলহরা গ্রামের কুমোর পাড়ায় এখন মাটির টব তৈরির ব্যস্ততা। বিভিন্ন সাইজের টব তৈরি হচ্ছে। ওই পাড়ার এক কুম্ভকার জানান, সারা বছর মাটির টবের চাহিদা থাকলেও মূলত নভেম্বর মাস থেকেই টবের চাহিদা প্রায় দ্বিগুনের চেয়েও বেশি হয়। তাই এই সময়টা মাটির অন্যান্য জিনিসপত্র বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টব তৈরি করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন জিনিসপত্র দাম বাড়লে লভ্যাংশ কমলেও চাহিদা থাকায় মাটির টব তৈরিতে রোজগার হচ্ছে ভালোই। ফলে শীতকাল শুরুর আগেই খুশির ঢেউ ওঠে কুম্ভকার পাড়ায়।

advertisement

সৈকত শী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: শীত পড়তেই পোয়া বারো কুমোর পাড়ার,দেদার বিকোচ্ছে পোড়া মাটির টব
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল