এই প্রসঙ্গে কাপড় বিক্রেতা ননী সূত্রধর জানিয়েছেন, “ভিড় হচ্ছে, আমাদের বিক্রিও ভালই হচ্ছে। পুজোর এখনও কিছুদিন বাকি রয়েছে। আশা করছি আরও বেশি বেচাকেনা হবে।”
গনেশ চন্দ্র কর্মকার তাঁত কাপড় নামক এই হাট মূলত তাঁতিদের এলাকা। সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, পূর্বস্থলী, শ্রীরামপুর, কালনা এই সকল এলাকায় বসবাস করেন তাঁতিরা। পূর্ব বর্ধমানের এই সকল এলাকায় প্রায় কিছু না হলেও হাজার হাজার তাঁতি বসবাস করেন। তাদের উৎপাদিত কাপড় এই হাটে আসে। সেইসব কাপড় অন্যান্য জায়গার থেকে এখানে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। কারণ এখানে উৎপাদন এলাকা রয়েছে, তাই সরাসরি উৎপাদন হয়ে হাটে চলে আসে। ভিন রাজ্যের পাইকাররাও এখানে এসে কাপড় কিনে নিয়ে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে উল্টে গেল অটো, রাস্তাতেই মৃত্যু বধূর
এই প্রসঙ্গে হাটের মালিক সুবীর কর্মকার জানান, “সারাবছর ডামাডোল চললেও পুজোর আগে এই একমাস ভাল কেনাবেচা হয়। ব্যবসায়ীরা খুব আনন্দে, আশায় থাকে। আশা করছি এবারেও বিক্রিবাটা ভালই হবে।”মালদা, শিলিগুড়ি, হুগলি, নামখানা থেকেও পাইকাররা পূর্ব বর্ধমানের এই হাটে কাপড় কিনতে আসে। পুজোর আগে প্রত্যেকবছর যেন জমজমাট হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের এই হাট।
সেরকমই এবছরও এই হাটে জোরকদমে চলছে বিক্রিবাটা। পুজো যেরকম এগিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে এই হাটে। এই হাটে বিভিন্ন সময় গড়ে কোটি কোটি টাকার কেনাবেচা হত। স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর আগে হাটে ভাল ভিড় হওয়ায় এবং বেচাকেনা ভাল হওয়ার কারণে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে। আগামী দিনে আরও ভাল বেচাকেনা হবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী