TRENDING:

স্বাধীনতার আগে বর্ণ বিদ্বেষের কারণে ভেঙে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের প্রথম দুর্গোৎসব কমিটি, আজও ইতিহাস 

Last Updated:

বর্ণ বিদ্বেষের কারণে ভেঙে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের প্রথম দুর্গোৎসব কমিটি, আজও ইতিহাস। বর্ণ বিদ্বেষের কারণে ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের আদি দুর্গোৎসব কমিটি। এমনকী জাতিগত বিবাদকে কেন্দ্র করে অষ্টমীর দিনগুলি গলা পর্যন্ত চলেছিল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সাগরদ্বীপ: বর্ণ বিদ্বেষের কারণে ভেঙে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের প্রথম দুর্গোৎসব কমিটি, আজও ইতিহাস। বর্ণ বিদ্বেষের কারণে ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের আদি দুর্গোৎসব কমিটি। এমনকী জাতিগত বিবাদকে কেন্দ্র করে অষ্টমীর দিনগুলি গলা পর্যন্ত চলেছিল। আজও পর্যন্ত সেই ইতিহাস সাগরবাসীর মুখে শোনা যায়। জানা গিয়েছে, ১৩৩২ সালে ১৩টি পরিবার মিলে শুরু করেছিল হরিণবাড়ি উত্তরপাড়া দুর্গোৎসব। তৎকালীন সময়ে যুধিষ্ঠির মন্ডল নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করে সাগরদ্বীপে প্রথম দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছিলেন। পরে প্রহ্লাদ মন্ডল মন্দির তৈরি করার জন্য জমি দান করেন। সেই সময় টালির ছাউনি দেওয়া মাটির দেওয়ালের মন্দিরে দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হতো। কিন্তু এই মন্দিরে নিচু বর্ণের মানুষদের ঢুকতে দেওয়া হতো না। এমনকী তাঁদের পুষ্পাঞ্জলিও পর্যন্ত দিতে দেওয়া হতো না।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
advertisement

আরও পড়ুনঃ ‘দেশের একতাকে সম্মান করুন’: -Gen Z-কে ধৈর্য্য ধরার বার্তা নেপালের মেয়রের! নেপালে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে সেনা

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জাতিগত এই বিবাদ চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত এই বিবাদ চরম পর্যায়ে উঠে। ১৩৩৮ সালে উঁচু ও নিচু  দুই বর্ণের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল বেধে যায়। এমনকি গুলি গলা পর্যন্ত চলে। সেই সময় এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপর ১৩৩৯ সালে ওই মন্দির থেকে কিছুটা দূরে শুরু হয় নতুন দুর্গা পূজা। সেদিন স্বাধীনতা সংগ্রামী কানাই মিত্র, বিপিন বেরা, অধর চন্দ্র দাস, পঞ্চানন দাস ও বিজয় চক্রবর্তীর উদ্যোগে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয় সাগর থানা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। সেই সময় এই পূজা মন্ডপে সকল বর্ণের মানুষ এসে পুজো দিতেন। আর সেই থেকে সাগরদ্বীপে শুরু হল প্রথম সার্বজনীন দুর্গোৎসব।

advertisement

তবে বর্তমানে আর বর্ণ বিদ্বেষ নেই। এখন দুটি মন্ডপে এসে সকল বর্ণের মানুষ পুজো দিতে পারেন। এবিষয়ে হরিণবাড়ি উত্তরপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক অশোক মন্ডল বলেন, “পূর্ব পুরুষদের মুখে শুনেছি তৎকালীন সময়ে বর্ণ বিদ্বেষের কারণে এই পুজো ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তবে এখন আর সেই সমস্যা নেই। সকল বর্ণের মানুষ এখন এই মন্দিরে এসে পুষ্পাঞ্জলি দেন। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় গত প্রায় ১০ বছর আগে স্থায়ী মন্দির তৈরি করা হয়েছে।”

advertisement

সাগর থানা সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির এক কর্মকর্তা দেশপ্রদীপ মাইতি বলেন, “এই পূজা মন্ডপে দুই বর্ণের ব্রাহ্মণকে দিয়ে পূজা করানো হয়। একজন হলেন উঁচু ও অন্যজন নিচু বর্ণের ব্রাহ্মণ। বংশ পরম্পরায় তাঁরা পুজো করে আসছেন। মূলত সমাজ থেকে বর্ণ বিদ্বেষকে মুছে ফেলার জন্য এই ভাবনা।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্বাধীনতার আগে বর্ণ বিদ্বেষের কারণে ভেঙে গিয়েছিল সাগরদ্বীপের প্রথম দুর্গোৎসব কমিটি, আজও ইতিহাস 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল