TRENDING:

Bee Farming: কৃষিকাজ না হলেও চাপ নেই! প্রাকৃতিক সম্পদকে হাতিয়ার করেই নতুন আয়ের খোঁজ ঝাড়গ্রামে

Last Updated:

রোজগারের নতুন দিশা দেখাচ্ছে ঝাড়গ্রামের মানুষদের

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম: প্রকৃতির উপহারকেই কেন্দ্র করে জঙ্গলমহলে রোজগারের রসদ গড়ে উঠছে। জঙ্গলমহল মানেই শাল, মহুয়া সহ নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর, আর সেই প্রাকৃতিক সম্পদই উপার্জনের পথ বাতলেছে এখানকার বাসিন্দাদের। প্রাকৃতিক সম্পদগুলির উপর নজর দিয়েই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের ও বাসিন্দাদের স্বনির্ভর করার উদ্যোগ কৃষি দফতরের। অভিনব কর্মসূচিতে জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মধু উৎপাদনে জোর।
advertisement

ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের অমর্দা অঞ্চলের নুটিঝুরি এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল জঙ্গল লাগোয়া। কৃষিকাজ তেমন হয়না বললেই চলে। সংসার চালাতে বিকল্প আয়ের কথাও ভাবতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। রাজ্য সরকার এই সব পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোতে বিকল্প রোজগারের পথ তৈরি করে তাদের আর্থিক সাবলম্বী করতে নানা পরিকল্পনা নেয়। সেই পরিকল্পনায় প্রথমে এলাকার কৃষকদের মধু চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। গোপীবল্লভপুরের প্রায় দেড়শ (১৫০) জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রতিপালন করছেন। তারা জানিয়েছেন, ‘মৌমাছি চাষ করে মধু উৎপাদনে আমরা বিকল্প আয়ের উৎস দেখছি।’

advertisement

আরও পড়ুন: বিশেষ ফল, কাজ করে ওষুধের মত! বিশেষ দিনে ওই ফল খেয়েই বীজতলা তৈরি শুরু করে চাষিরা

মধু ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রকল্প যেমন পুকুর খনন করে মাছ চাষ, মিলেট চাষ, কাজুর জুস তৈরি সহ নানা রকম পরিকল্পনা নেওয়া হয়। যার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এই এলাকার বেশ কিছু মানুষ মধু চাষে সাবলম্বী হয়েছেন। মাইগ্রেশনের জন্য বিভিন্ন জেলায় মৌমাছি প্রতিপালন করছেন। গোপীবল্লভপুর এক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দেবাশীষ গিরি জানান, রাজ্য সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে, যা জঙ্গলমহলের মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি ও বিকাশে সাহায্য করবে। এখানকার আর্থিক উপার্জন দুই ধরনের এক কৃষি নির্ভর আর অপরটি জঙ্গলনির্ভর।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

গোপীবল্লভপুর এক সহ কৃষি অধিকর্তা অভিঞ্জন দাস জানান, “কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে এইসব এলাকায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে লাভবান হচ্ছেন এলাকার কৃষকরা। মূলত আমরা দেশি মৌমাছি প্রতিপালনের উপর বেশি পরিমাণে জোর দিচ্ছে।”

advertisement

জেলার গোপীবল্লভপুর এক নম্বর ব্লকের নুটিঝুরি এলাকার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিয়ে দেশি মৌমাছি প্রতিপালন করা হয়েছে। এদিন রাজ্য স্তরের একটি দল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজ পরিদর্শন করলেন। মৌমাছি প্রতিপালনের বিষয়গুলি খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি,রাজ্য স্তরের দলটি জঙ্গলমহলের উৎপাদিত মধুর স্বাদ গ্রহণ করেও দেখেন। কীভাবে তারা সেগুলি বাজার জাত করবেন। সে বিষয়েও নজর দেন। এতদিন বিদেশি প্রজাতির মৌমাছির চাষ হত। এবার দেশি মৌমাছি পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

advertisement

তন্ময় নন্দী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bee Farming: কৃষিকাজ না হলেও চাপ নেই! প্রাকৃতিক সম্পদকে হাতিয়ার করেই নতুন আয়ের খোঁজ ঝাড়গ্রামে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল