দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে চার লেনে সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কিন্তু ডানকুনি থেকে হরিপাল পর্যন্ত অংশে এগারোটি জায়গায় রাস্তা পারাপারের জন্য় সাবওয়ে তৈরির দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। এই দাবি নিয়ে এর আগে হরিপাল থেকে নবান্ন পর্যন্ত সাইকেল চালিয়ে মিছিলও করেছেন বেচারাম মান্না।
আরও পড়ুন: আজ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজের কাছে দরবার সুকান্তর
advertisement
তার পরেও অবশ্য় সাবওয়ে তৈরি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ দফতরের কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি। এ নিয়েই সোমবার সকালে হুগলি চণ্ডীতলার পাঁচঘরা এলাকায় একটি জনসভায় যোগ দেন বেচারাম। সভার শেষে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন তিনি।
সেখানেই বেচারামকে গ্রামবাসীদের উদ্দেশে বলেন, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মতো ব্য়স্ত রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশ এসে তুলে দেবে। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা বেআইনি বলেও গ্রামবাসীদের জানান মন্ত্রী। তার বদলে যে যে জায়গাগুলিতে সাবওয়ে তৈরির দাবি উঠেছে, সেই সব জায়গায় রাস্তার পাশে বিক্ষোভ, অবস্থানের পরামর্শ দেন তিনি। রাস্তা সম্প্রসারণের কাজে বাধা দেওয়ার কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: 'ধার করেই গর্ব করতে হবে', জবরদস্ত ফাইনাল দেখে তৃণমূলকে খোঁচা দিলীপের
বেচারাম মান্নাকে বলতে শোনা যায়, 'যখন যাঁরা কাজ করতে যাবে, সে যেই হোক না কেন, বেশ করে পিটিয়ে দেবে। বাকিটা আমি বুঝে নেবো। গাড়ি চলছে চলুক, সেখানে অবরোধ করা যাবে না, ওটা বেআইনি। কিন্তু কাজ বন্ধ করতে গেলে পুলিস যদি বাধা দিতে আসে, তাহলে আমি পুলিসকে ধরে আছাড় মারবো।' মন্ত্রীর এই বক্তব্য় শুনে গ্রামবাসীদের হাততালি দিতেও শোনা যায়।
তবে পুলিসকে আক্রমণ করার এই নিদান এর আগেও শাসক দলের নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে। বর্তমানে জেল বন্দি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও পঞ্চায়েত ভোটের আগে পুলিসকে বোমা মারতে বলেছিলেন। গতকালই পুলিশকে বেঁধে রাখার কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বীরভূমের বিজেপি নেতা উত্তম রজক।
শ্রীরামপুর জেলা বিজেপি-র সাংগঠনিক সভাপতি মোহন আদক বলেন, 'অনব্রত মণ্ডল পুলিশকে মারতে বলার এই সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন। অন্য়ান্য় তৃণমূল নেতারাও এই পরম্পরা বহন করে চলেছেন।'
বেচারাম মান্না অবশ্য় ওই বিতর্কিত মন্তব্য় করার আগে সভা শেষে অভিযোগ করেন, সাবওয়ে তৈরি নিয়ে বার বার কেন্দ্রীয় সরকারের ভূতল পরিবহণ দফতর এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও পদক্ষেপ করছে না। যদিও মন্ত্রীর এ হেন মন্তব্য়ে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল।