শুধু তাই নয়, একাধিক অভিযোগ পেয়ে তিনি এলাকা খতিয়ে দেখেন। নাকা পয়েন্ট দিয়ে কেউ অসাধু উপায়ে অন্যত্র আলু রফতানি করছে কিনা সে বিষয়েও তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখেন। এছাড়াও সীমান্তেই পাহারাদার হিসেবে রাত পাহারা দিলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর, পাশাপাশি পড়ে বাবা-মা-যুবতী কন্যার দেহ! ছেলে তখন…ভয়ঙ্কর ঘটনা রাজধানীতে
advertisement
একদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা, অন্যদিকে প্রাকৃতিক কারণে প্রায় ১৫ দিন পিছিয়ে গিয়েছে আলুর বীজ রোপন। স্বাভাবিকভাবে নির্দিষ্ট সময় থেকে প্রায় ১৫ দিন পরে মার্কেটে আসবে নতুন আলু। আর এর মাঝেই আলু নিয়ে নানান সমস্যা দেখা গিয়েছে রাজ্যে। কোথাও আলুর দাম নিয়ে চলছে কালোবাজারি, কোথায় চলছে অন্য রাজ্যে আলুর রফতানি। এবার বাংলা থেকে যাতে ভিন্ন রাজ্যে আলু রফতানি না হয় তা নিয়ে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। বাংলা ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতন থানার বামনপুকুর এবং সোনাকোনিয়াতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী থানা, বেলদাতেও চলছে পুলিশি নাকা। এবার সেই নাকা পয়েন্ট ঘুরে দেখলেন রাজ্যের কৃষিজ বিপনন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। শুধু ঘুরে দেখলেন না, একাধিক গাড়ির কাগজপত্র চেক করা থেকে সীমান্তে রাত পর্যন্ত বসে রইলেন তিনি। বর্ডারেই রাত জাগলেন মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ আসছিল যে, বাংলা থেকে বিভিন্ন অসৎ উপায়ে কখনও সবজি গাড়িতে আবার কখনও বস্তার মধ্যে ভরতিকরে ভিন রাজ্যে আলু রফতানি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে সামগ্রিক বিষয় খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। পুলিশের কাজে উৎসাহ দিতে এবং সীমানায় নাকা খতিয়ে দেখতে তিনি এলাকায় আসেন। রাত্রিযাপন করেন এখানে। সামান্য জোগান নিয়ে নতুন বছরের প্রায় অর্ধেক মাস কাটাতে হবে বাংলাকে। স্বাভাবিকভাবে বাংলাকে বাঁচিয়ে উদ্বৃত্ত ভিন রাজ্যে রফতানি করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। বাংলা থেকে ওড়িশাতে যাতে কোনওভাবে আলু না যায় তা নিয়েই মন্ত্রীর এই সারপ্রাইজ ভিজিট।
সীমানায় না নাকা পয়েন্টে একাই পুলিশের সঙ্গে বসে রইলেন তিনি। কখনও খতিয়ে দেখলেন গাড়ির বৈধ কাগজ। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালালেন গাড়িতেও। স্বাভাবিকভাবে রাজ্যের মানুষকে আলুর সংকট থেকে বাঁচাতে মন্ত্রীর এই সীমানায় রাত্রিযাপন। প্রশাসনিকভাবে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবে সীমানায় সারপ্রাইজ ভিজিট এবং বর্ডারে মন্ত্রীর ঠায় বসে থাকা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
—- রঞ্জন চন্দ