সাগরদিঘি উপনির্বাচনে শাসক তৃণমূলকে হারিয়ে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয় হয়েছিল কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের জয়ে কংগ্রেসের কোনও অবদান নেই, তৃণমূলে যোগদানের পর এমনটাই দাবি করছেন বায়রন বিশ্বাস। এই এলাকায় কংগ্রেস ও সিপিআই কর্মীরা যারা লড়াই করে তাঁকে জেতানোর চেষ্টা করেছিলেন বায়রনের তৃণমূলে যোগদানে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। বায়রন বিশ্বাসঘাতক এমনটাই মনে করছেন স্থানীয় নেতারা।
advertisement
সোমবার রাতে সাগরদিঘির বিভিন্ন এলাকায় বায়রন বিশ্বাসের কুশপুতুল, ছবি জ্বালিয়ে, কংগ্রেস কার্যালয় থেকে তার সমস্ত ছবি ছিড়ে ফেলে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস সমর্থকেরা। তবে বায়রনের দল বদল কংগ্রেসে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করছেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। তাই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে পুনরায় উপনির্বাচনে লড়াই করে জিতে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সাগরদিঘির ব্লক কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক সাহিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: আজ ‘ট্রেলার’ দেখালাম, ‘৩ মাস’ পরে…, নন্দীগ্রামের মাটিতে শুভেন্দু-নিশানায় হুঙ্কার অভিষেকের!
তারপরেই তৃণমূলে যোগদানের পর সাগরদিঘিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হল বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসকে। বৃহস্পতিবার এই সংবর্ধনা সভায় জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কানাই চন্দ্র মণ্ডল, সভাপতি খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস-সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বায়রন বিশ্বাসকে। এদিনের সভায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
গত সোমবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। সাগরদিঘির বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। আর এই যোগদানের পর রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। তবে এইদিনের সভা থেকে বায়রন বিশ্বাস বলেন, “বড় বড় কথা নয়, কাজ করে দেখানই আমার লক্ষ্য। কংগ্রেসে থেকে এই তিনমাসে কোনো কাজ হয়নি। সাগরদিঘির উন্নয়নে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ায় আমার লক্ষ্যে। যারা আমাকে এখন বিশ্বাসঘাতক বলছে, মানুষের জন্য কাজ করে আমি তাদের মনও জয় করব। তারাও একদিন আমার কাছে আসবে।”