পতিত জমি, বাড়ির পাশের স্যাঁতসেঁতে জমি কিংবা জলাজমি, সব জায়গায় সহজেই হচ্ছে এই চাষ। নিরাপদ সবজি হিসেবে পরিচিত কচুর লতি যেমন পুষ্টিকর, তেমনি বাজারে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বসিরহাট মহাকুমার স্বরুপনগর, হিঙ্গলগঞ্জ , বাদুড়িয়ার একাধিক ব্লকের বিভিন্ন গ্রামের বহু মানুষ এই চাষে ঝুঁকেছেন, বিশেষত মহিলারা। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন কচুর লতি সংগ্রহ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : মোবাইলের নে*শা ভুলে এবার ‘মোবাইল’ স্কুলে! পড়াশোনায় ফের মন বসাতে অভিনব উদ্যোগ শিক্ষকের
৫ কেজির এক একটি বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। একজন চাষি দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারছেন। এভাবেই সামান্য জলা জমিই হয়ে উঠছে আয়ের নির্ভরযোগ্য উৎস। তবে শুধু সুবিধাই নয়, রয়েছে সমস্যাও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভরা বর্ষায় জলে কাজ করতে গিয়ে জোঁক, সাপ ও পোকামাকড়ের ভয় থাকে চাষিদের। দীর্ঘক্ষণ জলে থাকার ফলে অনেকে চর্মরোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন। তবুও সব প্রতিকূলতার মাঝেই এই কচুর লতি চাষ গ্রামীণ মানুষকে দিয়েছে আয়ের নতুন দিশা। কৃষির এই ছোট উদ্যোগ গ্রামাঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথ খুলে দিচ্ছে।