এই হাসপাতালেই আগে ছিল মাত্র পাঁচ শয্যার একটি ডায়ালাইসিস বিভাগ। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল—প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার ভরসা এই বসিরহাট মহকুমা হাসপাতাল। কিন্তু ডায়ালাইসিস রোগীর সংখ্যার তুলনায় এত কম শয্যা অত্যন্ত অপ্রতুল ছিল। ফলে বহু রোগীকে চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা দূরের বড় শহরে যেতে হত, যা একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই রোগীর পরিবারের কাছে চরম ভোগান্তির।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরুষদের নামগন্ধ নেই…! এবার মহিলারাই করে দেখাল নতুন কিছু, জেলায় প্রথম মহিলা পরিচালিত বিরাট নাট্যোৎসব
বহুদিন ধরেই উত্তর ২৪ পরগনার এই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা ছিল, যাতে বসিরহাটেই আরও শয্যা যুক্ত করে ডায়ালাইসিস পরিষেবা উন্নত করা হয়। এই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এবং বিধায়কদের দাবির ভিত্তিতে শুরু হয় কাজ। বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি ব্যানার্জি নিজে এই প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে দ্রুত কাজ শেষের দিকনির্দেশ দেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অবশেষে প্রতিশ্রুতি বাস্তবে রূপ নিল। হাসপাতালের ডায়ালাইসিস বিভাগে ৫ থেকে বেড়ে এখন ১০টি শয্যার আধুনিক ইউনিট প্রস্তুত যা সাধারণ মানুষের চিকিৎসার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। নতুন ইউনিটে থাকছে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী এবং নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা। এতে শুধু বসিরহাট নয়, সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, সন্দেশখালির মত এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন। একদিকে রোগী চাপ কমবে, অন্যদিকে সময়মত নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে পারবে অনেকেই, যা তাঁদের জীবনের গুণগত মান উন্নত করবে। পরিবারের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমার পাশাপাশি, চিকিৎসা পরিষেবার ওপর আস্থা বাড়বে মানুষের। এখন অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে খুব শিগগিরই নতুন এই পরিষেবা চালু হতে চলেছে।
জুলফিকার মোল্যা





