সুপরিসর পরিকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও টেকনিশিয়ানের অভাবে বহু যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হচ্ছে না। ফলে বসিরহাট মহকুমা ও সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষদের প্রায় ৭০-১০০ কিলোমিটার দূরের বেসরকারি বা সরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। সেখানে একদিকে যেমন খরচের বোঝা বহন করতে হচ্ছে, তেমনই সময় নষ্ট হওয়ায় প্রাণহানির ঝুঁকিও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বয়সকে হার মানিয়ে, শৈশবের আনন্দে মেতে উঠলেন প্রবীণরা
advertisement
এদিকে, গত মাসের ২০ তারিখে রাজভবন স্বাস্থ্য দফতরের কাছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চায়। রাজভবনের এই তৎপরতায় নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন জেলার মানুষ। যদিও বারবার সরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবি তোলা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য দফতরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, তবুও সঠিক পদক্ষেপ ও তদারকির অভাবে এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রান্তিক অঞ্চলের সাধারণ মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছেন। বিপদকালীন অবস্থায় রোগী এলে, তাদের বারাসাত জেলা হাসপাতাল বা আর জি কর হাসপাতালেই স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে। এতে চিকিৎসা পেতে দেরি হচ্ছে এবং পরিবারের উপর আর্থিক চাপও বাড়ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের আশার বার্তা এই বিষয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. শ্যামল বিশ্বাস জানান, “মেডিকেল কলেজ স্থাপনের অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।” এখন প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ এবং রাজভবনের তদারকির পরেই বোঝা যাবে, বসিরহাট মেডিকেল কলেজের স্বপ্ন আর কত দূর। তবে আপাতত অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি এবং আশা দুটোই তৈরি হয়েছে।
জুলফিকার মোল্যা