বারুইপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগের আউটডোরে নেই পাখা। ফলে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদেরও গলদঘর্ম হতে হচ্ছে। এই প্রচন্ড গরমে পাখা না থাকায় অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এমনিতে এই হাসপাতালের বাহ্যিক চাকচিক্যে কোনও অভাব নেই। সুসজ্জিত শিশু বিভাগের আউটডোর। আলো জ্বলছে। কিন্তু পাখার দেখা নেই। ফলে তীব্র গরমে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে রোগীদের। কষ্টে নাভিশ্বাস উঠছে শিশুদের।
advertisement
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় অস্বাভাবিক মৃত্যু নদিয়ার যুবকের, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ পরিবার
এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ, পাখা বসানোর নাম করে ওয়ারিং-এর কাজ হয়ে আছে বহুদিন আগে থেকে। কিন্তু পাখা আর লাগানো হচ্ছে না। এদিকে এই সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল সুদুর সুন্দরবনের কুলতলি, জয়নগর থেকে শুরু করে বারুইপুর, বিষ্ণুপুর, সোনারপুর এমনকী মগরাহাট এলাকার মানুষজন। মূলত এই সমস্ত এলাকাগুলিতে প্রাথমিক এবং ব্লক হাসপাতাল থাকলেও বড় কোনও সমস্যা হলে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর নির্ভর করতে হয়। প্রতিনিয়ত আউটডোরে রোগীর ভিড়ে নাস্তানুবুদ হতে হয় চিকিৎসকদের। সেখানকার শিশু বিভাগের পরিকাঠাময় এমন বড়সড় গলদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভাবনা-চিন্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
সুমন সাহা