অবরোধ। পালটা ভাঙচুর। আগুন। পুলিশের লাঠি। বিকেল প্রায় চারটে থেকে রাত আটটা চল্লিশ। বারুইপুর স্টেশনে ধুন্ধুমার। তুলকালাম।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বারুইপুর স্টেশন। বারুইপুর পুরসভার এক, দুই ও সতেরো নম্বর ওয়ার্ডের ঝুপড়িগুলি রেললাইন ঘেঁসে। ঝুপড়িবাসীদের অভিযোগ, এদিন সকালে বিনা নোটিসে তাঁদের শৌচালয় ভেঙে দেয় আরপিএফ। প্রতিবাদে বিকেল চারটে নাগাদ বারুইপুর ও মল্লিকপুরের মাঝে কুড়ি নম্বর রেলগেটে জমায়েত হন ঝুপড়িবাসীরা। আপ ও ডাউন লাইনে শুরু হয় অবরোধ।
advertisement
অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে লোকাল ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। আরপিএফ ও জিআরপির অনুরোধেও ওঠেনি অবরোধ।
অবরোধে ট্রেন বাতিল
- বাতিল হয় ৩৫টি লোকাল ট্রেন
- ৩ টি ডাউন ও ৫ টি আপ ট্রেনের যাত্রা সংক্ষিপ্ত
অবরোধের প্রতিবাদে ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানায় িবভিন্ন স্টেশনে শুরু হয় যাত্রী বিক্ষোভ। বারুইপুর স্টেশনে সাইনবোর্ড, টিকিট কাউন্টার, আলো, আসবাবপত্র ভাঙচুর হয়। টিকিট ভেন্ডিং মেশিনেও চলে ভাঙচুর। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় টিকিট পরীক্ষকের ঘরে। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠি চালায় পুলিশ।
রেলে আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। রাত আটটা চল্লিশে অবরোধ ওঠে।
রেলের দাবি, চলতি বছরের মার্চে পূর্ব রেল জানায়, জবর দখল না সরলে ট্রেন চালানো বন্ধ হবে। নবান্নে রেল ও পুলিশের ৈবঠকে সিদ্ধান্ত হয়, উচ্ছেদ অভিযান চালালে এক সপ্তাহ আগে থানা ও জেলাশাসককে জানানো হবে। আরপিএফের সঙ্গে স্টেশন ম্যানেজার ও সহকারী স্টেশন ম্যানেজারকেও জানানো হবে। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় এই প্রক্রিয়া চালানোর আগে জানানোও হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এদিনের ঘটনা।
ফোনো- রবি মহাপাত্র, সিপিআরও, পূর্ব রেল
তবে জেলা পুলিশের এসপি অরিজিত সিনহা জানিয়েছেন, রেল পুলিশ থেকে উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে কোনও তথ্যই জানানো হয়নি। স্টেশনে ভাঙচুরের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করছে রেল।