পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুতে মাদকদ্রব্যের ব্যবসা করতেন মৃত শ্যালক শান্ত মন্ডল। ব্যবসা চলতো রমরমিয়ে। অন্যদিকে তাঁর জামাইবাবু সেখানেই খাবার ডেলিভারি দেওয়ার কাজ করতেন। শ্যালকের গলায় মোটা সোনার চেন, হাতে প্রচুর টাকা। এই নিয়ে রাগ জন্মায় অভিযুক্ত জামাইবাবুর দেবব্রতর মনে। এর জেরেই শ্যালকের ব্যবসা হাতাতে তাঁকে সরানোর পরিকল্পনা। জানা গিয়েছে, দশমীর দিন শ্যালককে ফোন করে ডেকে হাফিজুলের অটোতে তুলেছিলেন দেবব্রত। খুনের জন্য সঙ্গে নিয়েছিল বেলেগাছির মিনাজুল ও জসিমউদ্দিনকে।
advertisement
আরও পড়ুন : পথচারীকে ধাক্কা মেরে ছিটকে গেল দ্রুতগতির বাইক, সজোরে ধাক্কা ঘরের দেওয়ালে! এখন তিনজনের অবস্থা গুরুতর
এরপরে শ্যালককে নিয়ে প্রথমে বাসন্তী যায় অভিযুক্তরা। সেখানে মদ্যপান করিয়ে তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা থাকলেও, রাস্তায় লোক থাকায় সেই পরিকল্পনা বাতিল করে। তারপর রাতেই সেই অটোতে শ্যালকেক বেগমপুর ষাট কলোনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আবার বসে মদের আসর। মৃত শান্তর টাকায় নতুন করে মদ্যপানের ব্যবস্থা করা হয়। শান্ত যখন অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করছিলেন, তখন তার অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর দেখে অভিযুক্ত।অন্যদিকে আগে থেকেই জামাইবাবু একটি বড় ধারালো কাস্তে কিনে রেখেছিল শ্যালককে খুন করার উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে ভোলবদল আবহাওয়ার, এবার পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে অন্যকিছু! চলতি সপ্তাহ কেমন কাটবে, রইল বড় আপডেট
রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ মদ্যপানের আসর শেষ হতেই, জামাইবাবু দেবব্রত শালা শান্ত মন্ডলের পিছন থেকে ঘাড়ে কোপ মারে। এক কোপে প্রায় ধর থেকে আলাদা হয়ে যায় মাথা। তারপরে কেউ মৃত যুবকের পকেটে থাকা নগদ টাকা, কেউ মোবাইল ফোন, কেউ গলার সোনার চেন, কেউ বা হাতের আংটি খুলে নেয়। এরপর একে একে যে যার বাড়ি চলে যায়। পুলিশ যাতে না কোনওভাবেই সন্দেহ না করে, তারজন্য পরবর্তী প্রক্রিয়ায় প্রথম সারিতে ছিলেন জামাইবাবু দেবব্রত পাত্র। এমনকি মৃত যুবক শান্ত মণ্ডলের মোবাইল থেকে সিম খুলে অন্য মোবাইলে তা ইন্সটল করে অনলাইনে তার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৮০ হাজার টাকা তুলে নেয় ধৃতদের একজন। পুলিশ সূত্রে খবর এখনও শান্তর একাউন্টে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা রয়েছে।