আরও পড়ুনঃ মৌমাছি চাষ করে স্বনির্ভর হচ্ছে টাকির যুবকেরা, স্বচ্ছলতার হাসি গোটা গ্রামে!
শুধু মাইথন ড্যাম থেকে নয় জল ছাড়া হচ্ছে পাঞ্চেত ড্যাম থেকেও মাইথনের পাশাপাশি সোমবার সকাল থেকে পাঞ্চেত জলাধার থেকেও জল ছাড়া হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৫৫ হাজার কিউসেক জল। অন্যদিকে যেহেতু পাঞ্চেত এবং মাইথন ড্যাম থেকে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে তার ফলে জল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল থেকে ৬০০০০ জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে খবর পাওয়া গিয়েছে।
advertisement
ডিভিসির জনসংযোগ আধিকারিক অপূর্ব সাহা জানিয়েছেন, বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ভারী থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হচ্ছে পড়শী রাজ্য গুলিতেও। যার ফলে দামোদরে জলস্তর অনেকটা বেড়েছে। জলধারগুলির জল ধারণ ক্ষমতার থেকেও বেশি জল এসে ডুকছে হু হু করে। স্বাভাবিকভাবেই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়তে হচ্ছে মাইথন এবং পাঞ্চেত ব্যারেজ থেকে। স্বাভাবিকের থেকে জলস্তর বাড়ছে সেখানে। সেই জলস্তর ঠিক রাখতে ছাড়া হয়েছে জল।
অন্যদিকে, যেহেতু মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হচ্ছে, তার ফলে প্রচুর জল এসে ঢুকছে দুর্গাপুর বেড়েছে। যে কারণে দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। দুটি ড্যাম থেকে ছাড়া জল দুর্গাপুর ব্যারেজে এসে পৌঁছচ্ছে। ফলে সেই বাড়তি জল ছাড়তে হচ্ছে। দুর্গাপুর ব্যারেজে জলস্তর যতক্ষণ পর্যন্ত না স্বাভাবিক থাকছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাড়তি জল ছাড়া হবে বলেই সূত্রের মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে।
এমনিতেই ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন জায়গায় জল জমার সমস্যা বাড়ছে। স্থানীয় ছোট বড় জলাশয় গুলিতে জলস্তর বেড়েছে। নদী-নালা গুলিও কানায় কানায় পূর্ণ। এমন অবস্থায় যেহেতু মাইথন, পাঞ্চেত এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে প্রচুর পরিমাণ জল ছাড়া হচ্ছে, ফলে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে অনেক জায়গায়। বিশেষ করে বাঁকুড়া, বর্ধমানের নিচু অংশ, হুগলির বিভিন্ন জায়গায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের বর্ষাকালেও বিশেষ জল ছাড়তে দেখা যায়নি দামোদরের এই ব্যারেজ গুলিকে। কিন্তু পুজোর মুখে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে প্রচুর জল ছাড়তে হচ্ছে। যার ফলে অনেকেই সমূহ বিপদ দেখছেন পুজোর মুখে।
Nayan Ghosh