কিন্তু চলতি মাসের ৩ তারিখে বুদবুদের ভরতপুরে পূর্ণিমার বিয়ে হয়ে যায়। পূর্ণিমার শ্বশুর সঞ্জয় বাউড়ী জানান, গত ইংরেজী ৩ রা আগস্ট তার ছেলের সাথে বিয়ে হয় পূর্ণিমার। তবে তিনি প্রেমের বিষয়ে কিছু জানতেন না। আজই সকালে ফোনে খবর পান যে তার বৌমা গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করছে।
মৃত দেবা বাউড়ির আত্মীয় সুমন বাউরী জানান, গত কাল রাত এগারোটা পর্যন্ত তার সাথে গল্প করেছে দেবা। পূর্ণিমা তার কাকার মেয়ে ও দেবা তার বন্ধু। সকালে উঠে তিনি শোনেন দেবার বাড়িতে দুজনে একটি বাঁশে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এমন পরিণতি ঘটতে চলেছে সে ব্যাপারে কিছুই বুঝতে পারেনি সে।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রাহকদের জন্য বড় খবর ! প্রিপেড প্ল্যানে অবিশ্বাস্য অফার দিচ্ছে Reliance Jio
পূর্ণিমার মামার বাড়ি সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে এখান থেকেই বিয়ে হয়েছিল পূর্ণিমার। দু দিন আগেই সে বুদবুদের শ্বশুর বাড়ি থেকে জাগুলিপাড়ায় এসেছিল। আজ শ্বশুর বাড়ি ফিরে যাবার কথা ছিল। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল। তারা বলেন, প্রেমের বিষয়টি গ্রামের কেউই সে ভাবে জানতো না। পূর্ণিমা শিক্ষিত হবার পরও এমন ঘটনা ঘটাবে এটা কেউ ভাবতে পারছে না। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ পুলিশ দু জনের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দু জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শরদিন্দু ঘোষ