এদিন সকালে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে জমির আল ঠিক করেন বিধায়ক। যা দেখে অনেকেই বললেন, বিধায়ক কৃষি পরিবারের সন্তান। তাই মাটির সঙ্গে নাড়ির টান আজও যে হারাননি এদিন সেটাই প্রমাণ করলেন বিধায়ক। জলকাদা মেখে জমির আল ঠিক করতে সাধারণত কোনও বিধায়ককে দেখা যায় না। নিশীথবাবু তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম।
বিধায়ক জানান, নিম্নচাপের কারণে সাতদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। আলু চাষের পর ফাঁকা জমিতে এই সময় জলদি জাতের আউশ ধান চাষ করা হয়। বিশেষত ডাঙা জমিতে। তিনি বলেন, "আমাদের নিজেদের কিছুটা জমি রয়েছে। তার আল ঠিক করতে নিজেই মাঠে নেমেছিলাম।"
advertisement
রাজ্য শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলা। দেশের অগ্রগণ্য ধান উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম পূর্ব বর্ধমান। জেলায় আমন আউশ বোরো তিন ধরনের ধানই উৎপন্ন হয়। এছাড়াও রায়না খণ্ডঘোষ এলাকায় ব্যাপক পরিমাণে সুগন্ধি ধানের চাষ হয়। দেশ-বিদেশে সেই চালের ব্যাপক চাহিদা। কৃষিনির্ভর জেলা হওয়ায় রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের অনেকেই কৃষক পরিবারের সদস্য। অনেকেরই জমি রয়েছে। চাষ হয় নিয়মিত। ধান থেকে আলু সব ধরনের চাষই হয়। তবে বিধায়কদের বড় একটা মাঠে নেমে কায়িক পরিশ্রম করতে দেখা যায় না। সেই জায়গায় একটু অন্যরকম ভাবে পাওয়া গেল বর্ধমান উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিককে। এদিন বৃষ্টি মাথায় করেই জমির আল বাঁধলেন তিনি। জমির জল বের হওয়া আটকাতে দীর্ঘক্ষণ তাঁকে মাটি কাটতে দেখা গেল।
