সাধ থাকলেও ছিল না সাধ্য। কারণ, থাকার মধ্যে রয়েছে একটা রিকশা। তাই তিন হাজার টাকা খরচা করে রিকশাকে ভ্যানে পরিণত করেন। সেই ভ্যানের গায়ে পোস্টার দিয়ে শুরু করেন পরিষেবা। ‘ অসহায় করোনা ব্যক্তিদের জন্য হাসপাতাল পরিষেবা দেওয়া হবে’। সঙ্গে যোগাযোগ নাম্বার। বিনামূল্যে তিনি দিয়ে চলছেন এই পরিষেবা। বর্ধমান শহরের নার্স কোয়ার্টার মোড়ে সারাদিন ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। ডাক পড়লেই ছুটে চলেন রোগী পৌঁছতে।
advertisement
করোনা আবহে নিজের পেটের ভাতের জোগার সব দিন হয় না। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সাহায্য করেন, সেই দিয়েই চলছে তিনজনের সংসার।বাড়িতে স্ত্রী ছেলে রয়েছে। নিজের বার্ধক্য ভাতাও নেই। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা, তবুও রবিউল কিন্তু লক্ষ্যে অবিচল। নার্স কোয়ার্টার মোড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, 'অ্যাম্বুলেন্স চালকরা এই সময় ব্যবসা করছেন। টোটোচালকরা আজেবাজে ভাড়া চাইছে। এই সময় কি ব্যবসার সময়। তাই আমি নিজেই এই কাজ করছি। যতদিন দেহে প্রাণ থাকবে এই কাজই করব।' এখনও পর্যন্ত হটু দেওয়ান, পীরবাহারাম, দুবরাজদিঘী থেকে ৩ জন করোনা রোগীকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছেন।
কিন্তু সুরক্ষা? রবিউল জানায়, 'পরিচিতরা একটি পিপিই কিট দিয়েছেন। কিছু মাস্ক ও স্যানিটাইজারও পেয়েছি। করোনা রোগী আনতে গেলে এইগুলো ব্যবহার করি। এইভাবেই চলে যাচ্ছে।' রবিউলের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার সকলে।
Saradindu Ghosh