মরশুমের শুরুতে বৃষ্টির অভাবে ধান চাষ করা নিয়ে প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দেরিতে বৃষ্টি হওয়ায় ধান রোয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পেরেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা। তারপর মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় সেই চাষ রক্ষা করা গিয়েছে। এবার ফলন ব্যাপক হবে বলে আশা করছিল কৃষি দপ্তর। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাদামি শোষক পোকা এবং ধসা রোগ শুরু হয় ফলন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিলেন অনন্ত মহারাজ, তবে এক সুর তৃণমূল-বিজেপির!
কৃষকরা বলছেন, এতদিন পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় হঠাৎ করেই রোগ পোকার আক্রমণ ব্যাপক আকার নিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও ধান গাছ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সবুজ গাছ রাত পোহালেই হলুদ খড়ের মত হয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, দীপাবলির সময় শীত পড়েছিল। তারপর নিম্নচাপের জেরে শীত উধাও হয়ে যায়। এখন গড়ে বাইশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকার কথা। তাতে শোষক প্রকার আক্রমণ হয় না। কিন্তু তাপমাত্রা থাকছে ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তার ফলেই রোগ পোকার উপদ্রব বাড়ছে।
জেলা উপ-কৃষি অধিকর্তা আশিস কুমার বারুই বলেন, ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিকদের প্রতি সপ্তাহের রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। কৃষকরা বলছেন, বাদামি শোষক পোকা খুব ছোট হওয়ায় তাদের সচরাচর দেখা যায় না।একসঙ্গে অনেক পোকা ধান গাছকে আক্রমণ করছে। তারা গাছের কাণ্ডের রস শুষে নিচ্ছে। চোখে পড়ার আগেই গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রতিনিয়ত ধান গাছে চোখ রাখতে হচ্ছে।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার রায়না, খন্ডঘোষ, গলসি, ভাতারের বেশ কিছু জমিতে বাদামি শোষক প্রকার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এর ফলে আক্রান্ত জমিতে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। সে সব পোকার আক্রমণ কী ভাবে ঠেকাতে হবে সে ব্যাপারে কৃষি দফতর চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।