দ্বিতীয়বার বিয়ে করা রীণা ঘোষ লোকের বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। কিছুদিন আগে শরীর খারাপ হওয়ার কারণে কাজ নেই তাঁর। এখন ছোট ছেলে আর দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে এই বর্ষায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন মাঝবয়সী ওই মহিলা। এখন তাঁরা বর্ধমান রেল স্টেশনে ঠাঁই নিয়েছেন।
রীনা দেবী জানান, ৬ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। বাকি জীবনটা সুস্থভাবে বাঁঁচতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা যুবক রাকেশ সরকারকে বিয়ে করেন কয়েকদিন আগে। ছোট ছেলে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ে দেয়। তাঁর দাবি, পাড়ার লোকেদের জানিয়েই তাঁরা এই পদক্ষেপ নেন।
advertisement
আরও পড়ুন- জলাতঙ্কে প্রতিবছর বিশ্বে কত মানুষের প্রাণ যায়? গ্যারান্টি অঙ্কটা শুনলে আঁতকে উঠবেন
এতে চরম রুষ্ট হয়েছে মহিলার বড় ছেলে বিকাশ ঘোষ। নতুন স্বামী রাকেশ সরকার জানান, রবিবার বিকেলে বড় ছেলে দলবল জুটিয়ে মারধর করে। ভাঙচুর, লুটপাট চালায়। বাড়িছাড়া করার হুমকি দেয়। প্রেম করে কেন বিয়ে করেছি তা নিয়েই তাদের ক্ষোভ। বিকাশ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা।
ছোট ছেলে আকাশ ঘোষ জানান, ঘরের সব জিনিসপত্র ওরা ভাঙচুর করে দিয়ে গেছে। বাড়ির মালিককেও হুমকি দিয়েছে। তাদের কাছে আর কোনো টাকা নেই। কার্যত না খেয়ে আছেন। তাঁর বক্তব্য, মা তাঁকে কিছুদিন আগে একটি টোটো কিনে দেওয়া তাঁর দাদার রাগের কারণ।
অভিযোগকারীদের দাবি, তাঁরা এই ঘটনা নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ হয়নি। রীণা ঘোষ জানান, তিনি তো সামাজিক নিয়ম মেনে বিয়ে করেছেন। কোনও অন্যায় করেননি।