TRENDING:

Bardhaman News: বাড়ছে লোকসান, কুলের তেমন চাহিদা না থাকায় হতাশ পূর্বস্থলীর চাষীরা

Last Updated:

ফল বিক্রেতারা বলছেন, কমলালেবুর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম কুলের বিক্রি চলছিল তবে এখন আঙুরের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই কুল বিক্রির তাগিদ কম। ক্রেতাদের মধ্যেও কুলের আর তেমন চাহিদা নেই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বর্ধমান: চাষ বাড়লেও চাহিদা নাই কুলের। দাম না মেলায় হতাশ পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর কুল চাষীরা। তারা বলছেন ফলন ভাল হলেও কম দামে কুল বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ফলে শ্রমিক লাগিয়ে ফসল তুলে লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তারা বলছেন সরস্বতী পুজোর আগে কিছুটা চাহিদা ছিল এখন সেই চাহিদা কমেছে অনেকটাই। ফল বিক্রেতারা বলছেন, কমলালেবুর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম কুলের বিক্রি চলছিল তবে এখন আঙুরের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই কুল বিক্রির তাগিদ কম। ক্রেতাদের মধ্যেও কুলের আর তেমন চাহিদা নেই।
advertisement

বেশ কয়েক বছর ধরেই পূর্বস্থলী দু'নম্বর ব্লকে বিভিন্ন রকমের কুল চাষ হচ্ছে। সেই কুলের চাষ দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই সবজি বা ফুল চাষ ছেড়ে কুল চাষ শুরু করেছিলেন। এই ব্লকের সরডাঙা, মোয়াইল, দোঘড়ি-সহ বহু এলাকাতে বাও কুল, বল সুন্দরী, সুন্দরী, মিস ইন্ডিয়া প্রজাতির কুল চাষ হয়। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসমের পাইকারেরাও কিনে নিয়ে যান কুল। মূলত শীতের মরশুমে পাইকারি বাজারগুলিতে কুল বিক্রির রমরমা থাকে। কিন্তু এবার সেই কুলের চাহিদা বেশ কম। চাষিরা বলছেন, ছোট বাও কুল সরস্বতী পুজোর আগে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা দরে। এখন সেই কুল তিন থেকে ছ'টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় বাও কুল কেজি প্রতি ২০-২২ টাকা দর থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৮ থেকে ১২ টাকায়। সদ্য বাজারে আসা বলসুন্দরী বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজিতে।

advertisement

আরও পড়ুন- মাত্র এক ঘণ্টায় কলকাতায় থেকে জামশেদপুর, এবার নিতে পারেন বিমানযাত্রার আনন্দ

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, এসব করতে গিয়ে মিস করেছেন প্রতিমা দর্শন? চিন্তা কীসের!
আরও দেখুন

তবে ফল ব্যবসায়ীরা এই কুল বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। ফোরেরা তাদের লাভের লাভ বুঝে নিচ্ছে। চাষীদের সেভাবে কিছুই থাকছে না। কৃষকরা বলছেন, সার কীটনাশক থেকে শুরু করে চাষের সব কিছুরই দাম বেড়েছে। কাঁটার কারণে কুল গাছ থেকে পারার জন্য শ্রমিক পেতেও সমস্যা হয়। এরপরও সেই কুল বাজারে নিয়ে যেয়ে লোকসানে বিক্রি করে দিয়ে আসতে হচ্ছে। এবার বাইরের রাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও সেভাবে দেখা মিলছে না। জমি বার্ষিক চুক্তিতে লিজ নিয়ে চাষ করেছেন অনেকেই। সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bardhaman News: বাড়ছে লোকসান, কুলের তেমন চাহিদা না থাকায় হতাশ পূর্বস্থলীর চাষীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল