বেশ কয়েক বছর ধরেই পূর্বস্থলী দু'নম্বর ব্লকে বিভিন্ন রকমের কুল চাষ হচ্ছে। সেই কুলের চাষ দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই সবজি বা ফুল চাষ ছেড়ে কুল চাষ শুরু করেছিলেন। এই ব্লকের সরডাঙা, মোয়াইল, দোঘড়ি-সহ বহু এলাকাতে বাও কুল, বল সুন্দরী, সুন্দরী, মিস ইন্ডিয়া প্রজাতির কুল চাষ হয়। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, অসমের পাইকারেরাও কিনে নিয়ে যান কুল। মূলত শীতের মরশুমে পাইকারি বাজারগুলিতে কুল বিক্রির রমরমা থাকে। কিন্তু এবার সেই কুলের চাহিদা বেশ কম। চাষিরা বলছেন, ছোট বাও কুল সরস্বতী পুজোর আগে কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা দরে। এখন সেই কুল তিন থেকে ছ'টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বড় বাও কুল কেজি প্রতি ২০-২২ টাকা দর থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ৮ থেকে ১২ টাকায়। সদ্য বাজারে আসা বলসুন্দরী বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ টাকা কেজিতে।
advertisement
আরও পড়ুন- মাত্র এক ঘণ্টায় কলকাতায় থেকে জামশেদপুর, এবার নিতে পারেন বিমানযাত্রার আনন্দ
তবে ফল ব্যবসায়ীরা এই কুল বাজারে ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। ফোরেরা তাদের লাভের লাভ বুঝে নিচ্ছে। চাষীদের সেভাবে কিছুই থাকছে না। কৃষকরা বলছেন, সার কীটনাশক থেকে শুরু করে চাষের সব কিছুরই দাম বেড়েছে। কাঁটার কারণে কুল গাছ থেকে পারার জন্য শ্রমিক পেতেও সমস্যা হয়। এরপরও সেই কুল বাজারে নিয়ে যেয়ে লোকসানে বিক্রি করে দিয়ে আসতে হচ্ছে। এবার বাইরের রাজ্যের পাইকারি ব্যবসায়ীদেরও সেভাবে দেখা মিলছে না। জমি বার্ষিক চুক্তিতে লিজ নিয়ে চাষ করেছেন অনেকেই। সবচেয়ে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।