বর্ধমান তেলিপুকুর রোডের ধারে ছিল নেতাজি সংঘের একতলা ক্লাবঘর। সামনে ছিল স্বামী বিবেকানন্দের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। মূর্তি সরিয়ে সেই জায়গায় গড়ে তোলা হয় তিন তলা বিল্ডিং। ওপর তলায় চলছিল ক্লাব, নিচের দুটি তলায় খোলা হয়েছিল বিরিয়ানির দোকান। বেআইনি এই নির্মান ভাঙার জন্য ক্লাবকে নোটিশ দিয়েছিল বর্ধমান পৌরসভা। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।
advertisement
ক্লাবকে বিল্ডিং ভাঙার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল পৌরসভা। সেই সময়সীমা পার হওয়ার পর নিজেই ওই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করল বর্ধমান পৌরসভা।
মঙ্গলবার বর্ধমান পৌরসভার ল অফিসার ও অন্যান্য অফিসাররা শ্রমিকদের নিয়ে এই বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু করেন। এ ব্যাপারে ক্লাবের তরফ থেকে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মহান দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নামে ক্লাব। সেই ক্লাবের একটা সামাজিক দায়িত্ব থেকেই যায়। পৌরসভার কোনও রকম অনুমোদন না নিয়ে এখানে এভাবে বিল্ডিং তৈরি করা তাদের উচিত হয়নি। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি সরিয়ে দেওয়াও সমর্থন করা যায় না।
আরও পড়ুন- লোহার বিমে চাপা পড়ল ৮ বছরের শিশু, খড়্গপুর স্টেশনে শিউরে উঠলেন যাত্রীরা!প্রশ্নের মুখে রেল
এই ব্যাপারে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, বেআইনি নির্মান আটকাতে সব সময়ই সচেষ্ট বর্ধমান পৌরসভা। স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি সরিয়ে একটি ক্লাব বেআইনি নির্মাণ করেছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। আমরা তাদের কাছে নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলি। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ বৈধ কোনও নথি দেখাতে পারেনি। এর পর আমরা ওই বেআইনি নির্মান ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিই। ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিয়ে বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে বলা হয়। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তা করেনি। তাই পুরসভা নিজেই এই বেআইনি নির্মান ভাঙার কাজ শুরু করল।