চলতি বছরে গত চার মাসে এখনও পর্যন্ত বাজ পড়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। আউশগ্রামের মালিয়ারা গ্রাম সংলগ্ন অজয় নদের চড়ে বজ্রঘাতে মৃত্যু হয়েছে চারটি গবাদি পশুর।মেমারিতে গত কালই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় ৩ জনের। তাদের মধ্যে মৃত পদ হেমব্রম( ৪৭) এর বাড়ি মেমারী ১ নং ব্লকের বড়ল গ্রামে। স্থানীয় পুকুরে স্নান করার সময় হঠাৎ করে বাজ পড়লে তিনি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে মেমারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
advertisement
আরও পড়ুন: অর্পিতাকে মনে হয় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে: রাকেশ
মেমারী ২ নং ব্লকের বারোয়ারী গ্রামের বাসিন্দা আশা সব্বার (৩৭) ও মালতি সব্বার বোহার এলাকায় ধান রোয়ার কাজে যাওয়ার সময়ে বজ্রের আঘাতে আহত হন। তাদের উদ্ধার করে পাহাড়হাটি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষাণা করে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের এক আধিকারিক জানান বজ্রপাতের সময় বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরি। বজ্রপাতের সময় কি করণীয় তা দফতর থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার সাড়ে দশ মাসেই বাংলার পূর্ণমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, গুরুদায়িত্ব দুই দফতরের
লিফলেট, ফ্লেক্স থেকে শুরু করে পোস্টার দেওয়া হলেও বাসিন্দাদের একটা অংশের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। রুজি রুটির প্রয়োজনে অনেককেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে থাকতে হয়। তাছাড়া এখন চাষের ভরা মরসুম। এই সময় কৃষকরা বা কৃষি শ্রমিকরা বাড়ির বাইরে মাঠে দুর্যোগ উপেক্ষা করে কৃষি কাজে ব্যস্ত থাকেন। বজ্রপাতে বেশি সংখ্যায় সেই সব বাসিন্দারাই হতাহত হচ্ছেন। তাই এ ব্যাপারে গ্রামীণ এলাকা গুলিতে প্রচার আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।