শীত পড়তেই সন্ধের পর অনেকে গায়ে তুলছেন গরম পোশাক। ভোররাতে টেনে নিতে হচ্ছে চাদর বা কম্বল। এক ধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের শীতলতম স্থান ছিল আসানসোল। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাধারণভাবে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনি কি ক্লাসিকাল ডান্সার? রেলে চাকরির দারুণ সুযোগ নিয়ে জানুন
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা এরকমই থাকবে। উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা ও শুষ্ক বাতাস আসতে শুরু করেছে। সে কারণেই ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে আরেকটি ঝঞ্ঝা পশ্চিম হিমালয়ের ওপর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন উত্তুরে হাওয়া দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তার জেরে শীতের আমেজ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিশেষ কমবে বলে মনে করছেন না আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্কে IT অফিসার নিয়োগ, দারুণ সুযোগটি জানুন
শীতের আমেজ অনুভূত হওয়ায় খুশি রাজ্যের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। তাঁরা বলছেন,একটু বেশি দাম পাবার আশায় অনেকেই আলু চাষ শুরু করে দিয়েছেন। আলু চাষের জন্য শীত খুব জরুরি। আবার অনেকের এখনও ধান কাটা বাকি। তার মধ্যেই মাজরা ও শোষক প্রকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। শীত থাকলে শোষক পোকার আক্রমণ কমবে। আবার শীতকালীন সবজির ফলনও ভালো হবে। তাতে রোগ পোকা আক্রমণও কমবে। তাই শীতের আমেজ দীর্ঘস্থায়ী হোক চাইছেন সকলেই।