ইডি, সিবিআই গরু পাচারের ঘটনায় জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই গরু পাচার কান্ডে গ্রেফতার হয়ে আসানসোলে বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তদন্তে নিত্য নতুন তথ্য উঠে আসছে। সেই তদন্তের মাঝেই গরু পাচারের অভিযোগে ৩ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৭৮টি গরু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'কোথায় সিএএ করবে?' জীবন দিয়ে মতুয়াদের রক্ষার অঙ্গীকার মমতার
এই গরু পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত তিনটি ট্রাকও আটক করা হয়েছে। ট্রাকগুলির বিহারের রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। ধৃত বাবলু যাদবের বাড়ি বিহারের নওয়াদা জেলার পাকরিবারওয়ান গ্রামে। সুজিত কুমারের বাড়ি নওয়াদা জেলার বেলধার গ্রামে এবং মহম্মদ সাবিরের বাড়ি বিহারের সমস্তীপুরে।
আরও পড়ুন: 'মামদোবাজি? টাকা কি হাতের মোয়া?', কৃষ্ণনগরের বৈঠকে রেগে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের দিক থেকে হুগলির দিকে তিনটি গাড়িতে করে পাচারের উদ্দেশ্য বেশ কিছু গোরু নিয়ে আসা হচ্ছে বলে মেমারি থানার পুলিশের কাছে খবর আসে। সেই অনুযায়ী জিটি রোডের মেমারির চেকপোস্ট এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাকা চেকিং শুরু করা হয়। ভোর নাগাদ ৩ টি ট্রাককে আটকায় পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে কোনও রকমের বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।উদ্ধার করা হয় ৭৮ টি গরু। আটক করা হয় ৩টি গাড়িকেই। এর আগেও কাটোয়া মহকুমায় বেশ কিছু গরু আটক করা হয়েছিল। এবার গরু উদ্ধার হল মেমারিতে। কী উদ্দেশ্যে কোথায় গরুগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন হাটে গরু নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকে। অন্য জায়গা থেকে মঙ্গলকোট, গলসি বা সেহারাবাজারের গরুর হাটে গরু আসে। এই গরু কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা দেখা হচ্ছে।