অর্ণব দাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে শাঁখামুটি (banded krait) সাপটিকে জাল কেটে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে লোকালয়ের বাইরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। অর্ণব দাস জানিয়েছেন, শাঁখামুটি সাপ পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে খুবই উপকারী। যদিও এটি একটি বিষধর সাপ। তবু পশ্চিমবঙ্গে এই সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনা তেমন বেশি নয়। তিনি জানিয়েছেন, এই সাপ অন্য বিষধর সাপেদের বাচ্চা যেমন গোখরো, চন্দ্রবোড়া ইত্যাদি সাপের বাচ্চা খেয়ে নেয়। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে বেশ কয়েক বছর যাবৎ শাঁখামুটি সাপের সংখ্যা অনেক কমে আসছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ধানক্ষেতে ৫০ হাতির তাণ্ডব ক্যামেরাবন্দি আকাশে ড্রোনপথে
শুক্রবার উদ্ধার হওয়া এই সাপটি ছিল স্ত্রী সাপ। এটি লম্বায় প্রায় ৪ ফুট। এই সাপটিকে নিয়ে বন দফতর এবং পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে একটি কথা প্রচলন আছে যে, শাঁখামুটি যে জঙ্গলে বা এলাকায় থাকে সেখানে এই সাপ একজন বন সুরক্ষা কর্মীর কাজ করে। কারণ অন্য বিষধর সাপের বংশবৃদ্ধি রোধে এই সাপের সক্রিয় ভূমিকা থাকে। এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, সাধারণত বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়ে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যখন তখন বিষধর সাপ বেরিয়ে পড়ছে। ফলে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে সকলের।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে সাপ দেখা যায় না একথা ঠিক। কারণ এ সময়ে তারা গর্তের ভিতর শীতঘুমে থাকে। কিন্তু এখনও সেভাবে শীত পড়েনি। দু-একদিন শীত পড়লেও ফের তাপমাত্রা বেড়েছে। তাই এই সময়ে খাবার সংগ্রহের জন্য সাপগুলি হয়তো বেরিয়ে আসছে। প্রসঙ্গত, সাপটি ধরা পড়ার পরেই এলাকায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। সাপটি দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করে মানুষ। তবে খুব তাড়াতাড়িই সাপটিকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- পা দিতে যাচ্ছিলেন বাসিন্দারা, বর্ধমানে পথের মধ্যে এ কী পড়ে! ভয়ংকর কাণ্ড