জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের ভিড় থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। রোগের বিপজ্জনক লক্ষ্মণ সম্পর্কে আশাকর্মীদের সচেতন করা হচ্ছে। তাঁরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ এবং উপসর্গ সম্পর্কে জানাচ্ছেন শিশুর আত্মীয় পরিজনদের।
আরও পড়ুন: অ্যাডিনো-আতঙ্কের মাঝেই নতুন চিন্তা 'পপকর্ন লাং! বাচ্চাদের সামলে, জেনে রাখুন উপসর্গ
advertisement
জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট-সহ অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে শতাধিক শিশু ভর্তি রয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে। হাসপাতালে বেডের তুলনায় এখন অসুস্থ শিশুর সংখ্যা বেশি। সেই কারণে একটি বেডে দুটি করে শিশুকেও রাখতে হচ্ছে। তার মধ্যে‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস (এআরআই) বা শ্বাসযন্ত্রে তীব্র সংক্রমণ ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে দুই শিশুর মৃত্যু হওয়ায় উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষের দাবি, দু'বছরের কম বয়সি ওই শিশুদের ওজন কম ছিল। তাছাড়া তারা শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তারা অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত ছিল কি না, তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: এত দিন ভুল জানতেন, কাগজ দিয়ে নয়! এই জিনিস দিয়ে তৈরি হয় টাকার নোট...
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক বলেন, "বর্ধমান মেডিকেল কলেজ গবেষণাগারে ১৫ টি শিশুর নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তার মধ্যে ১৪ টি শিশুর নমুনা অ্যাডিনো পজেটিভ পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে সকলের চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।"