#বর্ধমান: লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। আবার জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে অনেকে বদলে নিয়েছেন পেশা। তেমনই পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা পার্থ মণ্ডল অভিনব রেস্টুরেন্ট তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। একটি গাড়ির উপর নকশা বদলে তিনি তৈরি করেছেন তাঁর স্বপ্নের ইন্দোকন্টি রেস্টুরেন্ট। ইন্ডিয়ান ও কন্টিনেন্টাল খাবারের ফিউশন। এখন শুধুই ডাকের অপেক্ষায়। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে জন্মদিনের পার্টি- সব আয়োজনের জন্য পৌঁছে যাবে পার্থ মণ্ডলের এই ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্ট। অন্য সময় রাস্তার ধারে চালু থাকবে এই রেস্টুরেন্ট।
advertisement
হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করে তিনি দেশ বিদেশের বিভিন্ন নামি শহরে পাঁচতারা হোটেলে কাজ করেছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন এই পেশাকে। দুবাইয়ে কাজ চলাকালীন করোনার সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হন।এখানে এসেও কাজ খুঁজেছেন। কিন্তু মন মত কাজ জোটেনি। তাই নিজেই কিছু একটা করার ব্যাপারে তৎপর হন। যেহেতু হোটেল ব্যবসা তাঁর মজ্জায় তাই এই পেশাকেই অবলম্বন করে নিজে কিছু একটা করার কথা ভাবতে শুরু করেন তিনি। মাথায় আসে ভ্রাম্যমান রেস্টুরেন্ট তৈরি ভাবনা। বললেন, আমার তো রাস্তার ধারে বা শহরের বুকে নিজস্ব জমি নেই। জমি কিনে সেখানে রেস্টুরেন্ট গড়ার খরচ অনেক। তাই গাড়ির মধ্যে এই রেস্টুরেন্ট তৈরির কথা ভাবি।
একটি লরির ওপর তৈরি হয়েছে তাঁর নকশা। লরির কাঠামোর বদল ঘটিয়ে তাকে আধুনিক রেস্টুরেন্টের রূপ দেওয়া হয়েছে। নিচের তলায় রয়েছে রান্নার ব্যবস্থা। সেখান থেকে শুরু করে রেফ্রিজারেটর সবই রয়েছে। ওপরতলায় ছাতার নিচে সাজানো টেবিল-চেয়ার। একসঙ্গে সর্বাধিক ৫০ জনের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। চাইলে তা রূপ নিতে পারে ডান্সফ্লোরের । সব মিলিয়ে তাঁর এই রেস্টুরেন্ট তৈরি করতে খরচ হয়েছে কুড়ি লাখ টাকা।
বিয়ের প্রীতি ভোজের জন্য অনুষ্ঠান বাড়ি মিলছে না ? কিংবা নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে ৫০ জনের অধিক নিমন্ত্রিত করা যাবে না তাই কম বাজেটের অনুষ্ঠান বাড়ি প্রয়োজন? সে সব জায়গায় পৌঁছে যাবে পার্থ মন্ডলের এই ভাম্যমান রেস্টুরেন্ট। ঢোকার মুখেই হাত ধোয়ার বেসিন। সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেই বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে রেস্টুরেন্টে। নিচের তলায় রয়েছে লিফট। তার মাধ্যমেই খাবার পৌঁছে যাবে ওপরতলায়। সেখানে টেবিল-চেয়ার ছাড়াও আইসক্রিম পার্লার থেকে শুরু করে সফট ড্রিংস তৈরি - সব ব্যবস্থাই রয়েছে।
