বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিশন তাঁদের পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের আইকন করেছিল। ভোট মিটে গিয়েছে। তার পর আর খোঁজ রাখেনি প্রশাসন। করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেতে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হল নির্বাচন কমিশনের আইকন প্রতিবন্ধী দুইভাইকে। কয়েকবার হাসপাতালে লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন মেলেনি। বিডিওকে মৌখিকভাবে জানিয়েও কোভিড ভ্যাকসিন পাননি মেমারির কলানবগ্রামের সঞ্জীব মণ্ডল ও মানিক মণ্ডল। তাঁদের চলা ফেরা করতে হুইল চেয়ারই ভরসা। নির্বাচন কমিশনের আইকন হিসেবে তাঁরা হুইল চেয়ারে বসেই এলাকায় ঘুরে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষদের পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদন জানিয়েছেন। এখন ভ্যাকসিনের জন্য তাঁরা হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন। ভ্যাকসিন মেলেনি।পাবেন জানেন না। স্থানীয় পাল্লারোড হাসপাতালে অনেকবার গিয়েছেন। ফিরেছেন ব্যর্থ মনোরথে। হাসপাতাল থেকে তাঁদের বলা হয়েছিল, ভ্যাকসিন নেই।পরে খোঁজ নিতে। অবশেষে সংবাদ মাধ্যম ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সক্রিয়তায় মিলেছে ভ্যাকসিন।
advertisement
এই ভ্যাকসিন হয়তো মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা সহজ করবে। কিন্তু সেটাই যে সব নয়। কলানবগ্রামে এক কুটুরি মাটির ঘর। মাটির এক কুটুরি ঘর। তাতেই মায়ের সঙ্গে বসবাস দুই ভাইয়ের। অভাবের সংসার। ঝিটেবেড়ার ঘরে থাকে হাঁস মুরগি। সেসব পালন করে এবং প্রতিবেশীদের দয়া দাক্ষিন্যে কোনও রকমে দিন কাটে। কোনও রকম ভাতা পাননা। সরকারি আবাস যোজনায় বাড়িও পাননি নির্বাচন কমিশনের এই দুই আইকন। অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ মিললেও মানিক বলেই ফেললেন, মাথা গোঁজার একটা স্হায়ী ব্যবস্থা খুবই প্রয়ােজন।
Saradindu Ghosh