অভিযোগ, আধার কার্ড তৈরি করার জন্য মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এক এক জনের কাছ থেকে ৬০০টাকা বা তার বেশিও নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।পূর্ব বর্ধমানের কালনার কাঁসারি পাড়া এলাকায় বাড়িতে অফিস খুলে এই কারবার চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আধার কার্ড ছাড়াও বাড়িতে বসেই তৈরি করা হচ্ছিল কাস্ট সার্টিফিকেটও। সেখানে জন্ম সংশাপত্রও তৈরি করে দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। এসব কাজের জন্য নেওয়া হতো মোটা টাকা। এক একটি সংশাপত্রের জন্য তিন হাজার টাকা বা তারও বেশি অর্থ নেওয়া হতো বলে অভিযোগ।
advertisement
এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে কালনা থানার পুলিশ গিয়ে খোকন শেখ নামে অভিযুক্তকে আটক করে নিয়ে যায়। বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নথিও। অভিযোগ, কালনার কাঁসারি পাড়ায় একটি বাড়িতে বেশ কয়েক মাস ধরে আধার কার্ড সংশোধন ও নতুন আধার কার্ড তৈরি করছিলেন ওই ব্যক্তি । রীতিমতো অফিস খুলে বসে আধার কার্ড করতে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ।পাশাপাশি আরও অভিযোগ, জন্ম সার্টিফিকেট করতে নেওয়া হতো সাড়ে তিন হাজার টাকা। সরকারি দফতরের কাজ বাড়িতে বসেই কিভাবে হতো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই ব্যবসা। লোকমুখে তা চাউর হতেই এদিন বেশ কিছু যুবক এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, যে ৬০০ টাকা আধার কার্ডে ও সাড়ে তিন হাজার টাকা নিয়ে জন্ম শংসাপত্র তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
এরপর তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। ঘটনাস্থলে আসে কালনা থানার পুলিশ ৷ আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় খোকন শেখকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার কাছে থাকা সমস্ত নথি। অভিযোগকারী যুবকদের বক্তব্য, আগে বিভিন্ন সাইবার ক্যাফেতে আধার কার্ড তৈরি করা হতো। গুরুত্বের কথা বিচার করে ও জালিয়াতি আটকাতে সেসব নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখায় আধার কার্ড তৈরি করা হয়। এতে ন্যূনতম মূল্য নেওয়া হয়। সেই কাজ এক ব্যক্তি বাড়িতে বসে কিভাবে করছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত। তাছাড়া জাতি শংসাপত্র,জন্ম শংসাপত্র বাড়িতে বসে কিভাবে তৈরি করা হচ্ছিল তার যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
যদিও অভিযুক্ত খোকন শেখ জানিয়েছেন, আধার কার্ডগুলি দীর্ঘ দিন আগেকার। সেইসব আধার কার্ড বের করতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তাই সেজন্য৬০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। আবার বিনা পয়সায় বা অনেক কম খরচে অনেকের আধার কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর দাবি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি সরকারি দফতর থেকে কাজ করিয়ে আনতে, নাকি সেসব ঘরে বসেই তৈরি করতেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে সরকারি দফতরের কর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Saradindu Ghosh